প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৬:৬
দুই দিনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে এসেছে দিনাজপুরের হিলি শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, যার ফলে হিলি স্থলবন্দরে পুনরায় শুরু হয়েছে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বন্দরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে ফিরেছেন এবং ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য লোড-আনলোডে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা। দুই দিন বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্য জট সৃষ্টি হলেও এখন তা দ্রুত স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, কর্মসূচির কারণে দুই দিন যাবত পণ্য খালাস বন্ধ ছিল, যার ফলে অনেক ট্রাক বন্দরে ঢুকতে পারলেও কাস্টমস কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি। তবে সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস কার্যক্রম সচল হওয়ায় শ্রমিকরা দ্রুত পণ্য লোড আনলোড শুরু করেছে এবং ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
এদিকে হিলি জিরো পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা হাফিজ আহমেদ জানান, বেলা সাড়ে বারোটার পর থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ শুরু করেছে এবং সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে এনবিআর সংস্কারের জন্য কমিটি গঠনের আশ্বাস ও ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম কর্মসূচি চলাকালীন সময়েও স্বাভাবিক ছিল বলে জানান অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রীরা প্রতিদিনের মতোই চলাচল করতে পেরেছেন।
শুল্ক স্টেশন ও বন্দরে কর্মরত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, কর্মসূচি প্রত্যাহারের ফলে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত না হয়ে আরও গতিশীল হবে এবং সরকারের উদ্যোগে এনবিআর সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বন্দর-সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হবেন।
এখন পুরো বন্দরে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে এবং এতে করে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ শ্রমিকদের মাঝেও স্বস্তি ও আশাবাদের সঞ্চার ঘটেছে।
মেটা কীওয়ার্ডস: