প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১৬:৪৯
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার পার্ক লেনের অভিজাত হোটেল ডোরচেস্টারে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ড. ইউনূস আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি জানান, যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আগামী বছরের রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে তার আগে রাজনৈতিক সংস্কার এবং বিচার ব্যবস্থায় কার্যকর অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হয়ে চলে দেড় ঘণ্টা। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে বৈঠক শেষ হয়। আলোচনা চলাকালে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। তারা আশা করছেন, এই আলোচনা রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বৈঠক নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা দিতে পারে।
এ বিষয়ে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে। তিনি আরও বলেন, গোটা জাতি লন্ডনের দিকে তাকিয়ে আছে, এবং ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
রিজভীর মতে, দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনা ছাড়া বিকল্প নেই এবং এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো উচিত। তিনি বলেন, এ আলোচনার পথ ধরেই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক এক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে এবং তা দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তারা বলছেন, এই ধরনের আলোচনা শুধু বিএনপির জন্য নয়, গোটা রাজনৈতিক পরিসরের জন্যই আশার আলো হতে পারে।
ফলে, ইউনূস ও তারেকের এই ঐতিহাসিক বৈঠক আগামী দিনের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বৈঠক ঘিরে এক নতুন আগ্রহ তৈরি হয়েছে, যার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা জাতি।