প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১২:৩

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ভারী বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২৫টি ঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুর্যোগের প্রভাবে নিঝুমদ্বীপ, হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, তদরদ্দি, চরকিং ও সোনাদিয়া—এই ৯টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, এই নিম্নচাপে শুধুমাত্র বসতঘরই নয়, গবাদি পশু ও গৃহপালিত প্রাণী মিলিয়ে ৭০টি পশু মারা গেছে। ৫৭ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬টি কালভার্ট ও ৭৩টি পুকুর।
অন্যদিকে, ভেঙে পড়েছে অন্তত ৭০টি দোকান, যার ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকার বহু মানুষ এখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রয়েছেন।
এই দুর্যোগের কারণে হাতিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, যা স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে। বহু পরিবারের রান্নার উপকরণ ও আসবাবপত্র পানিতে ভেসে গেছে।

জেলা শহর মাইজদীর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে। ড্রেন ও খালে ময়লা জমে থাকার কারণে পানি নামতে না পারায় শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে।