প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১২:১

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে তিন দিন ধরে অপেক্ষমাণ চারটি মরদেহ অবশেষে বিশেষ বিবেচনায় সরকারি নৌযান বেক্রুজ-১ এর মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়া নৌ যোগাযোগের মাঝে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মরদেহ গুলোকে বিশেষ ছাড়ে পার করার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মরদেহগুলো বেক্রুজ-১ যোগে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার বিকেল থেকে মরদেহবাহী চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘাটে অবস্থান করছিল। পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও আবহাওয়ার কারণে যাত্রা সম্ভব হচ্ছিল না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বেলা ১২টার পর থেকে হাতিয়ায় সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন। এতে চেয়ারম্যান ঘাটে যাত্রীরা আটকা পড়েন এবং মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলোও আটকে যায়। পরিবারগুলো এ সময় চরম দুর্ভোগ ও মানসিক কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়।
মরদেহগুলো গ্রহণের জন্য নলচিরা ঘাটে স্বজনরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছিলেন। নৌযান থেকে নামানোর পর মরদেহগুলো সড়কপথে হাতিয়া উপজেলা সদর ওছখালিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিজ নিজ এলাকায় দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র মানবিক কারণ বিবেচনা করে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যসব যান চলাচলের ক্ষেত্রে পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, বিশেষ মানবিক বিবেচনায় মরদেহ পারাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি সব ধরনের যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে।

প্রশাসনের এই সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্তে স্বজনরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দ্বীপবাসী এখনো দুর্ভোগে রয়েছেন।
এই ঘটনায় প্রশাসনের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি দুর্যোগে দ্বীপাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতাও আবারও চোখে পড়লো।