প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৯:১৯
আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন সংস্থা ও পরিবহন খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় জানানো হয়, ঈদে যাত্রী ও পশুবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে নদী পারাপারের জন্য রো রো, মিডিয়াম ও ইউটিলিটি মিলে মোট ১৭টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ২০টি লঞ্চও থাকবে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত। এছাড়া ঘাটে তিনটি ফেরিঘাট সচল থাকবে এবং পানির উচ্চতা বাড়লে আরেকটি ঘাটও চালু করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে এবং তারা ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারবে। যাতে পশুর কোনো কষ্ট না হয় এবং বেচাকেনায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। একইভাবে যাত্রীবাহী বাসগুলোকেও দ্রুত পারাপারে সুবিধা দেওয়া হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় সভায়। গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকধারী সদস্য, ডিবি পুলিশ, নৌ ও হাইওয়ে পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।
ইউএনও নাহিদুর রহমান সভায় বলেন, ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পর সাত দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলবে না। সন্ধ্যার পর পশুবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রতিটি ট্রলারে গন্তব্যের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধে কঠোর নজরদারি থাকবে।
তিনি আরও জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে এবং যানবাহনের ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান স্থানে টানানো হবে। ঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ থাকে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
পাশাপাশি ঘাটে সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপনসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রাখা হবে। যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে গোয়ালন্দ প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানান ইউএনও।