চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো ছুরিকাঘাত চিকিৎসকের! আহত কলেজছাত্র

আহত রাফি একই ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মো. আজাদের ছেলে এবং কবিরহাট সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. শাহীন (৬০) পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক এবং চাঁন মিয়ার মোড় এলাকার বাসিন্দা।

রাফির বন্ধু সায়েম জানান, বিকেলে অশ্বদিয়া সোলেমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলার সময় তার হাত লেগে রুমন নামের আরেক বন্ধুর ঠোঁট কেটে রক্তক্ষরণ হয়। পরে তারা আহত রুমনকে চিকিৎসার জন্য অলিপুর চাঁন মিয়া মোড়ে অবস্থিত পল্লী চিকিৎসক শাহীনের চেম্বারে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা না দিয়ে শাহীন অপারগতা প্রকাশ করেন, যা নিয়ে উপস্থিত কিশোরদের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।

বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাফির সঙ্গে শাহীনের হাতাহাতি হয়। উত্তেজিত শাহীন চা দোকানে থাকা ছুরি দিয়ে রাফির গলার নিচে আঘাত করেন। স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ রাফিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. শাহরিয়ার জানান, রাফির গলায় প্রায় তিন ইঞ্চি গভীরে গিয়ে ধমনি কেটে গেছে, যা মারাত্মক জখম। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা পল্লী চিকিৎসক শাহীনের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।