কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের একটি গোপন আস্তানা থেকে ১৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার সকালে দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের মুক্ত করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, কুখ্যাত পাচারকারী সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মানুষ অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য জিম্মি করে রাখছিল। গত কয়েকদিন ধরে তাদের তৎপরতা নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়।
উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা জানান, দালালরা মোবাইল ফোনে চাকরি ও বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের টেকনাফে নিয়ে আসে। পরে অপহরণ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আটকে রাখা হয়। সেখানে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো এবং পরিবারকে ভিডিও কল দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হত।
টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, "গত ২৪ এপ্রিল থেকে এই চক্রের তৎপরতা নজরে আসে। উদ্ধারকৃতদের নিরাপদে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।"
গত মাসে মায়ানমার থেকে মানব পাচারের সময় সাইফুল ইসলামের চক্রের সদস্যদের আটকের চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে পালিয়ে যায়। এবারের অভিযানে তার আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের অত্যাচার চলছিল। বিজিবির অভিযানের পর এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে বলে তারা জানান।
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকটি মামলা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।