প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ১৫:৩৭

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে পাগলা কুকুরের কামড়ে ২৩ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে গনিপুর গ্রামে পাগলা কুকুরটি পাঁচজনকে কামড়ায়, এরপর মাহমুদপুর, ভারারিয়া ও হাউলভাঙ্গা গ্রামেও ছুটে গিয়ে দুটি শিশুসহ আরো ছয়জনকে কামড়ে আহত করে। এলাকাবাসী কুকুরটিকে ধাওয়া করলে এটি চাতুটিয়া ও হরিদেববাড়ী গ্রামে প্রবেশ করে এবং সেখানে আরো ১২ জনকে কামড়ে আহত করে।
চাতুটিয়া গ্রামের চাল বিক্রেতা মজিবর রহমান জানান, পাগলা কুকুরটি তার বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে কামড়ায়। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই গরিব পরিবারের সদস্য। গোপালপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেখানে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেই এবং বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হবে। কিন্তু, একে একে পাঁচটি ডোজের জন্য রোগীদের ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা খরচ করতে হবে, যা গরীব রোগীদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
গনিপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক রমযান আলী জানান, যাদের ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ্য নেই, তারা অনেকেই করিরাজের ঝাঁড়ফুক ও ওষুধের উপর নির্ভর করছে। গোপালপুর উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি লুৎফুল কবীর জানান, ফার্মেসীতে দুই ধরনের জলাতঙ্কের ওষুধ পাওয়া গেলেও, দামি ভ্যাকসিনের কারণে গরীব রোগীরা তা নিতে পারছেন না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খায়রুল ইসলাম জানান, সারা দেশে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের সংকট চলছে। গোপালপুর হাসপাতালেও ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় না। আক্রান্ত রোগীদের টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আলমগীর হোসেন জানান, তাদের কাছে চাহিদার তুলনায় কম ভ্যাকসিন আসে এবং সংকটের কারণে অনেক সময় রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
এ পরিস্থিতিতে গরীব রোগীরা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের অভাবে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে, স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি উঠেছে।