বন্যার্তদের নিজভিটায় ঘর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

এদিন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের কুমাল্লা গ্রামের উপকারভোগী মো. আলম মিয়ার বাড়ির আঙিনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় তিনি বলেন, “গত বছরের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুরে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব ছিল, সরকার সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই ঘরগুলো তৈরি করে দিয়েছে, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ঘরগুলোর মাধ্যমে দুর্গত মানুষ নতুন করে জীবন শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি।”

উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলার ছয়টি উপজেলায় এই ৭০টি ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তর করা হয়। বুড়িচং উপজেলায় ২৯টি, চৌদ্দগ্রামে ১০টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০টি, মনোহরগঞ্জে ১০টি, সদর দক্ষিণে ৬টি এবং নাঙ্গলকোটে ৫টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে জেলা প্রশাসন এবং নির্মাণের দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন। উদ্বোধনী দিনে বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের হাতে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন, আশ্রয়ন প্রকল্পের পরিচালক মনিরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এনামুল হক এবং ২৩ বিগ্রেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। ঘরপ্রাপ্ত উপকারভোগীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং নতুন জীবনের আশা প্রকাশ করেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগের পরে মানুষের জীবনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।