কমলগঞ্জে বসতঘরে অগ্নিদগ্ধ দুরুদ মিয়া চিকিৎসাধীন অঅবস্থায় মারা গেলেন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় একটি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হাজী মো. দুরুদ মিয়া। তিনি উপজেলার বড়গাছ গ্রামের বাসিন্দা এবং শাহজালাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

গত শনিবার ভোরে উপজেলার চৌমুহনী চত্বর এলাকার নিজ বাসায় আগুন লাগে। এ সময় ঘরের ভেতরে ছিলেন দুরুদ মিয়া ও তার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কালাম। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তারা দুজনই দগ্ধ হন। প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালেও ততক্ষণে দুরুদ মিয়ার শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে দুরুদ মিয়াকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।

দুরুদ মিয়ার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে গভীর শোক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং এলাকায় একজন পরিচিত মুখ হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন। তার ব্যবহারে সবাই সন্তুষ্ট ছিলেন এবং এই অকাল মৃত্যু এলাকাবাসীর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

দুরুদ মিয়ার জামাতা জাবের আহমদ মিন্টু জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শ্বশুর সোমবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছিল তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। কেউ কেউ ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে, তবে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

ঘটনার তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন থেকে একটি দল গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দুরুদ মিয়ার মৃত্যুতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও ব্যবসায়ী মহলে গভীর শোকের ছায়া বিরাজ করছে। এলাকাবাসী এই দুঃসময়ে পরিবারটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।