আশাশুনিতে ভাঙ্গন রোধে রিংবাঁধের কাজ সম্পন্ন, বানভাসীদের স্বস্তি

প্রতিবেদন অনুসারে, বিছটর পাউবোর বেঁড়িবাঁধের ভাঙন স্থানে জিও টিউবের মধ্যে বালি ভরে বিকল্প রিংবাঁধ দেওয়ার কাজ গত তিন দিন ধরে চলছিল। সেনাবাহিনী ও পাউবোর কর্মকর্তাদের একযোগে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর শুক্রবার দুপুরে এ বাঁধটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এর ফলে, নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ বন্ধ হয়েছে এবং অনেক বাসিন্দা কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, "এই কাজটি প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে, এবং আরো কিছু জিও টিউব দিয়ে বেঁড়িবাঁধের কাজ শক্তিশালী করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিংবাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে, এরপর মূল বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।"

এদিকে, গত ঈদ উল ফিতরের দিন সকাল ৮টার দিকে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রায় ২০০ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ ধ্বসে পড়ে এবং এর ফলে গ্রামবাসীর ঈদের আনন্দ ক্ষুণ্ণ হয়। অসংখ্য গ্রামবাসী প্রাণপণ চেষ্টা করলেও জোয়ারের তোড়ে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এর পরিণতিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। প্রায় ৪,৫০০ বিঘা মৎস্য ঘের এবং ২১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শতাধিক কাঁচাঘর ধ্বংস হয়ে যায়। বিদ্যুতের অভাব, খাবার ও গো খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয় এবং অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ও পাউবোর বাঁধে আশ্রয় নেন।

এই সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পাউবো দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পুরো এলাকার পুনর্বাসন ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ বেশ কিছু সময় নেবে।