বরিশালে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে বরিশাল পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। এসময় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সব সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি মালিকানা ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দিবসটির প্রথম প্রহরে বরিশাল নগরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক ও বদ্ভভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও শ্রদ্ধা জানায়।
রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, জাতীয় পার্টি পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। সকাল ৯টায় নগরের বেলস পার্কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের মূল কর্মসূচি শুরু হয়। এর পরপরই প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ শেষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারো শিক্ষার্থীসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজে অংশ নেন পুলিশ, আনসার, আর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষে বরিশালে চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানসহ নানা আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তারা ১৯৭১ সালের পর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে, তার বৈশ্বিক গুরুত্ব এবং গনতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে বরিশালে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি চলতে থাকে। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, “আগামী বছরের স্বাধীনতা দিবসে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়বে, এবং প্রশাসনও এর যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।”