"স্বাধীনতা দিবসে হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মিষ্টিমাখা সম্পর্ক"

সকাল সাড়ে দশটায় ১১ নম্বর সাবপিলারের সামনে দুই বাহিনীর সদস্যরা পরস্পরকে মিষ্টি উপহার দেন। বিজিবি হিলি আইসিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অসীম মারাক ও বিএসএফের ৭৯ ব্যাটালিয়নের এসি রহিত শর্মা এসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।  

অনুষ্ঠানে বিজিবি হিলি চেকপোস্টের কমান্ডার নায়েব সুবেদার এনামুল হক, নায়েব সুবেদার আবুল কালাম এবং বিএসএফের হিলি সিপি গেইটের ইন্সপেক্টর অতুল রায়সহ উভয় পক্ষের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি কমান্ডার অসীম মারাক জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, হিলি সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানোর এই রেওয়াজ দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও মজবুত করছে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থানীয় জনগণের জন্যও ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনছে।  

স্থানীয়রা জানান, হিলি সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এই ধরনের আন্তরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতা দিবস ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় উৎসবে দুই পক্ষ পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। এ ধরনের আয়োজন সীমান্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা দুই বাহিনীর এই সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করতে সহায়তা করবে। হিলি সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এই সম্প্রীতির পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা সবসময়ই বিএসএফের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। দুই বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় সভা ও যৌথ টহল এই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করছে। স্বাধীনতা দিবসের এই শুভেচ্ছা বিনিময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।