যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, তবে যানজট ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরছেন। যমুনা সেতুর টোল আদায়েও দেখা গেছে নতুন রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, যার মাধ্যমে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। শনিবার সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যমুনা সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল অংশের সেতুর পূর্ব প্রান্তে ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পার হয়েছে, যার টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অপরদিকে, সিরাজগঞ্জ অংশের সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ঢাকাগামী লেন দিয়ে ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পার হয়েছে, এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় এবারের টোল আদায় কিছুটা কম হলেও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩ সালে একদিনে ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন পারাপার হয়ে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত যমুনা সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড।

প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে সেতুর উভয় প্রান্তে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ চালু রাখা হয়েছে, যার মধ্যে চারটি বুথ মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত।

গত বছর ঈদুল ফিতরে যমুনা সেতু দিয়ে ৪৭ হাজার ৭৫৭টি যানবাহন ও ৯ হাজার ৩৪৮টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছিল, যেখানে টোল আদায় হয়েছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা।

যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে যমুনা সেতুর উভয় প্রান্তে ফাস্ট ট্র্যাক বুথ চালু রাখা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন এই সেতু ব্যবহার করে চলাচল করছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫-১৮ হাজার যানবাহন পার হলেও ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।