প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩
ঈদকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ, যার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪২ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ৯৩৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে মোট ৩৯ হাজার ৪৩২টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে, যার ফলে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৫০ টাকা। এছাড়া ফাস্ট টেকের মাধ্যমে অনলাইনে আরও ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা টোল আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল। তিনি জানান, ঈদের সময় যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং প্রতিদিন গড়ে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হতে পারে।
যানবাহনের চাপ সামলাতে সেতুতে ১৮টি টোল বুথ চালু রাখা হয়েছে, যার মধ্যে চারটি শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত চার লেনে যান চলাচলের সুবিধা থাকায় যানজট কিছুটা কমবে।
তবে নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, সেতুর ওপর যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আট লেনের মহাসড়ক প্রয়োজন। বর্তমানে চার লেন চালু থাকলেও ঈদের সময় যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হয়, যা ব্যবস্থাপনায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এদিকে, ঘরমুখো মানুষদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ আশা করছে, যাত্রীরা কিছুটা ধৈর্য ধরলে এবং নির্ধারিত নিয়ম মেনে চললে যানজট এড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি অনলাইনে টোল পরিশোধের পরিমাণ বাড়ানো গেলে সময়ও সাশ্রয় হবে।
যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও যানবাহনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।