প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:৪০
পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে ভ্রমণকারীদের জন্য আনারস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন স্থানীয় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবারসহ বিভিন্ন ছুটির দিনে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্পটগুলোতে আনারস বিক্রি করে ভালো পরিমাণ আয় করছেন তারা। এসব ব্যবসায়ী স্থানীয় কিছু আনারস বাগান থেকে পাইকারি আনারস কিনে ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রি করছেন।
শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের জন্য সুস্বাদু আনারস একটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ পিছ আনারস বিক্রি করে তারা ৪ থেকে ১০ হাজার টাকার বেচাকেনা করতে সক্ষম হন। বিশেষ করে পর্যটকরা যে আনারস কিনতে আসেন, তাদের কাছে স্বল্প দামে আনারস বিক্রি করে তারা উপকৃত হন। শহরের বিভিন্ন স্থানে যেমন ভানুগাছ রোড, বিটিআরআই পয়েন্ট, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর কাছে আনারসের দোকান দেখা যায়।
আনারস বিক্রেতা সুবল দেবনাথ জানান, তিনি রাধানগর এলাকার বাগান থেকে পাইকারি আনারস কিনে এনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন। তিনি বলেন, "আমি ১০০ থেকে ১৫০ পিছ আনারস প্রতিদিন বিক্রি করি, তবে পর্যটক না থাকলে বিক্রয় কিছুটা কম হয়।" ছোট আনারস প্রতি পিছ ৩০ টাকা, মাঝারি আনারস ৪৫ টাকা এবং বড় আনারস ৬০ টাকায় বিক্রি করেন। এইভাবে তিনি দিনে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি করতে সক্ষম হন।
অন্য এক আনারস বিক্রেতা জামাল হোসেন রনি জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন এবং পর্যটকদের কাছেই বেশি আনারস বিক্রি হয়। সাইজ অনুযায়ী আনারসের দাম ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তার দৈনিক বেচাকেনা ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
ভ্রমণকারী তাসমিন জানান, তিনি টাঙ্গাইল থেকে শ্রীমঙ্গলে এসেছেন এবং ভ্যান গাড়ি থেকে ৭০ টাকায় আনারস কিনে খেয়েছেন। আনারসটি রসালো এবং সুস্বাদু ছিল। নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত পর্যটক রিয়াজ হাসান বলেন, "ভানুগাছ রোড থেকে আনারস কিনে খেয়েছি, দাম ৬০ টাকা হলেও সুস্বাদু ছিল।"
এছাড়া, শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য পর্যটকরা যেমন সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী সায়মন তাহমিদও আনারস কিনে খেয়েছেন এবং ফলটির স্বাদ উপভোগ করেছেন। তিনি জানান, আনারসের দাম তুলনামূলক কম এবং স্বাদ অনেক ভালো।
এইভাবে, শ্রীমঙ্গল পর্যটন নগরী হিসেবে স্থানীয়দের জন্য ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করছে, যার মাধ্যমে তারা তাদের সংসার পরিচালনার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন। একই সাথে, পর্যটকরা সস্তায় সুস্বাদু ফল পাচ্ছেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন।