প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৫
নোয়াখালীতে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় ছয় দিনে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার সকালে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা মামলার আসামি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জাকের হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুর রহিম, হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সোহেল, যুবলীগ নেতা মো. নিরব উদ্দিন কবির, বেগমগঞ্জের যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, কবিরহাট উপজেলার যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন নয়ন, সেনবাগ উপজেলার যুবলীগ সদস্য ইমাম হোসেন, অর্জুনতলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল আলম সবুজ এবং চাটখিলের আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম রতন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, সুধারাম থানা থেকে দুইজন, হাতিয়া থানা থেকে দুইজন, চাটখিল থানা থেকে একজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে একজন, কবিরহাট থানা থেকে একজন ও সেনবাগ থানা থেকে দুইজনকে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশের যৌথ দল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। এসব মামলায় পূর্বের তদন্তের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের ব্যাপারে কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অভিযানের ফলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে তারা আশা করছেন, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সন্ত্রাস ও নাশকতা বন্ধে নিরাপত্তা বাহিনী সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।