প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৫
নোয়াখালী জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নে গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চালানো হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্টের তৃতীয় পর্যায়ের অভিযান। যৌথ বাহিনী বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং হাতিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় দুই সন্ত্রাসীকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একে একে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, গুলি ও বিস্ফোরক সামগ্রী।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. নবীর উদ্দিন (৫০) ও মো. ইমাম হোসেন (৫০) নামের দুই ব্যক্তির নাম জানা গেছে। এরা চরকিং ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আমেরিকার তৈরি একটি পিস্তল, দেশীয় তৈরি একটি শ্যুটার গান, ১২টি ককটেল, ৯টি গুলি, ২টি ড্রেগার এবং ২টি কিরিচ। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়া ঘটনা স্থানীয় এলাকায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল্লা আল ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল রাত আড়াইটার সময় স্থানীয় এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযানে বের হলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনী তখন ফাঁকা গুলি চালায় এবং কিছু সময় পর সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দুইজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, পুলিশ আরও জানায় যে, এই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট চলাকালীন সময়ে তারা আরও অভিযানে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
এ অভিযানে উদ্ধার করা বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে এলাকায় এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে যখন এই ধরনের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তারা আরও বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তারা সর্বদা কঠোর অবস্থানে থাকবে।