প্রকাশ: ২ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:১
সিলেটে চালের বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ৫০ কেজির বস্তায় দাম বাড়ানোর পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, চাহিদার তুলনায় বাজারে চালের সরবরাহ কম থাকায় এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। তারা দাবি করছেন, দেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সরবরাহ বিঘ্নিত করছে।
সিলেটের বৃহত্তম পাইকারি আড়ত কালীঘাটে এক সপ্তাহ আগে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম ছিল যথাক্রমে: মিনিকেট আতপ ৩১০০ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ ২৯৫০ টাকা, জিরা সেদ্ধ ৩৩০০ টাকা, মালা ২৮০০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৩৩৪০ টাকা। গত এক সপ্তাহে মিনিকেট আতপে ২০০ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধতে ১৯০ টাকা, জিরা সেদ্ধতে ১৮০ টাকা, মালায় ১৮০ টাকা এবং কাটারি ভোগে ২৬০ টাকা দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারেও কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা, যা নিম্ন আয়ের মানুষকে বেশি বিপাকে ফেলছে।
সরকার ইতোমধ্যে চালের বাজার স্থিতিশীল করার জন্য চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। তবে, এই সিদ্ধান্তের পর বাজারে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুতকারী একটি অসাধু চক্র গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে কিছু মিলমালিক কমদামে কেনা ধান দীর্ঘদিন ধরে মজুত রেখেছে, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।
সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতিতে খুবই অসহায়। শাকিল নামে একজন ক্রেতা বলেন, “বাজারে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে না। বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর জন্য একের পর এক অজুহাত দিচ্ছে। এখন বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে।”
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সরকারের কাছে দেওয়া একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, চাল একটি সংবেদনশীল পণ্য। গরিব মানুষের খাদ্য ব্যয়ের একটি বড় অংশ চালের দিকে চলে যায়। বর্তমানে চালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।
এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য সরকারের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন, অন্যথায় সাধারণ মানুষ আরও ভোগান্তির শিকার হবে।