রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

বাংলাদেশ

চা-শিল্প টিকিয়ে রাখতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রয়োজন: সভায় বক্তারা

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৪, ৩:২৮

শেয়ার করুনঃ
চা-শিল্প টিকিয়ে রাখতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রয়োজন: সভায় বক্তারা
চা
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমূখী চা শিল্প' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ সারা দেশে আজ ৪ জুন চতুর্থ বারের মতো জাতীয় চা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আইপিডিএস ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগীতায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় (লেবার হাউস) এর সভাকক্ষে জাতীয় চা দিবসটি উদযাপন করা হয়৷ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালির আয়োজন করে সংগঠনটি৷

বাচাশ্রই সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি বৈশিষ্ট্য তাতি, সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ, জেসমিন আক্তার, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি, বাচাশ্রই বালিশিরা ভ্যালীর সাংগঠনিক সম্পাদক কর্ন তাতি প্রমুখ। 

আরও

কবিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

কবিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

সভায় বক্তারা বলেন, চা-শিল্প বড় একটি শিল্প। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের চা শিল্পাঞ্চলের ১৬৭টি চা বাগান জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়ার মূল শক্তি চা শ্রমিক ও কর্মচারীরা। তাদের শ্রমেই এ শিল্পের মালিকদের বড় বড় অট্টালিকা আর অভিজাত জৌলুস গড়ে উঠেছে। পরিত্যক্ত জমি নিজের শ্রম ও ঘাম দিয়ে আবাদ করে মূল্যবান চা উৎপাদন করে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। তাদের চা পৃথিবীর ২৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু চা শ্রমিকরা সব নাগরিক সুবিধা ভোগের অধিকার সমভাবে প্রাপ্য হলেও তারা নানাভাবে এখনও বৈষম্যের শিকার। এখনও তাদের জীবনমানে কাঙ্খিত মানের নয়। 

২০২৩ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত বছর দেশের ১৬৭টি বাগান ও ক্ষদ্রায়তন চা–চাষিদের হাত ধরে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ২০২১ সালে। সে বছর দেশের সব বাগান মিলিয়ে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল, এখন সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ডে পরিণত হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড ২০১৯ সালে। ওই বছর চা উৎপাদিত হয়েছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি।

আরও

সিরাজগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

চা বাগান মালিকরা জানান, চা দিবস উদযাপন হবে প্রতি বছর, কিন্তু চা শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এখন থেকেই ভাবতে হবে। কারণ হলো চায়ের উৎপাদন ভালো,  কিন্তু গুণগত মান না থাকায় চা বাগানের মালিকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এক কেজি চায়ের খরচ প্রায় ২৫০ টাকা, কিন্তু অকশনে বিক্রি হয় ১৫০-১৮০ টাকা, কোন সময় ১০০ টাকা। তবে চলতি বছর ২০২৪ সালে  চা বোর্ড থেকে মূল্য নিধারণ করেছে মিনিমাম একটি দামে বিক্রি করার জন্য।  এতে করে চায়ের গুণগত মান না থাকায় সেই দামে অকশনে চা বিক্রি হচ্ছে না। ফোর প্রাইসের বাগানর চা সর্বোচ্চ ৬১০ দামে কেজি বিক্রি হয়েছে, যা অল্প কয়েক কেজি চা। ফলে লাভবান হচ্ছেন ব্রোকার্স ও বায়াররা আর বাগান মালিকরা লাভের মূখ দেখছেন না। চা বিক্রি করতে হলে বাগান মালিকরা নিলামে বিক্রি করতে হয়। সাধারণত বাগান মালিকরা বাগান থেকে পাতা তুলে চা তৈরির পর তা গুদামে পাঠান। ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চায়ের মান নির্ধারণ করে। এরপর প্রতি সপ্তাহে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে চা বিক্রি করা হয়। 

একাধিক চা-বাগান মালিকরা জানান, বিদ্যুৎ, কীটনাশক, শ্রমিক মজুরি ইত্যাদি বাড়তি থাকায় তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। চায়ের ন্যায্য মূল্য না পেলে যেকোনো সময় চা শিল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম। 

চা শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও আমরা যারা বাগানে চা পাতা তুুলি, বাগানে কাজ করি আমাদের ছেড়ে যায়নি দারিদ্র্যতা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চা বাগানে কাজ করি আমরা। প্রতিবছর মে দিবস এবং জাতীয় চা দিবস আসে আবার চলে যায়। কিন্তু আমাদের নিজস্ব ভূমি থেকে শুরু করে বেতন- মজুরি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মপরিবেশসহ জীবনমান উন্নয়নের নেই কাঙ্খিত অগ্রগতি। এখনও অনেক শ্রমিককে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে চা পাতা তুলতে হচ্ছে।

তবে কয়েক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে   চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান, কাজের পরিবেশ, মজুরি,স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান ও শিক্ষা ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বলেও তারা স্বীকার করলেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা এখনও বৈষম্য ও শোষণের শিকার এ কথাও যোগ করেন।

চা শ্রমিকরা জানান, কাজের পরিবেশ কিছুটা উন্নত হলেও যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, স্বাস্থ্যসেবা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে মজুরি এখনও অনেক কম। দৈনিক মজুরি এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা পর্যাপ্ত নয় বলেও তারা জানান। 

শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের পিংকি গোয়ালা, লছমী রাজভর, আলীনগর চা বাগানের রেবতি রিকিয়াশনসহ নারী শ্রমিকরাও জানান, তারা ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা সেরে কাজে বের হন আর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে রান্নাবান্না করেন। এটি চা বাগানের বেকার নারীদের প্রতিদিনের চিত্র। এভাবেই চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম। বস্তির অতি দরিদ্র ও চা শিল্পে শ্রমজীবীদের একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে বেকার। চা বাগানের নারীদের কাছ থেকে সস্তায় শ্রম পাওয়া যায়।

শ্রীমঙ্গল চা বাগান নারী শ্রমিক পারভীন বেগম ও শেফালি কর বলেন, পেটের দায়ে যখন যে কাজ পাই সেটা করতে আমরা বাধ্য হই। তারপরও দেড়শ কিংবা দুইশ টাকা রোজ দেওয়া হয়। এটি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। আর পুরুষরা কাজ করলেই তিন থেকে চারশ টাকা পান। আমরাও পুরুষদের চেয়ে কাজ কম করি না। তবে পারিশ্রমিক কম পাই। তারা জানান, প্রতি বছর চা বাগানের অনেক মানুষ নিয়ে আমরা মে দিবস পালন করি। আমাদের দুঃখ-দুর্দশা সবার কাছে তুলে ধরি। কিন্তু আমাদের এই আন্দোলন কে শুনবে, কী হবে আর মে দিবস পালন করে।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

আলাপকালে শ্রমিকরা আরও বলেন বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, এই অবহেলিত চা শ্রমিকদের বাসস্থানের জায়গাটুকু যাতে তাদের নিজের নামে করে দেওয়া হয়। যাতে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের যখন তখন ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে না পারে।

শ্রীমঙ্গলে বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি হলো চাকরির কোটা, শিক্ষা কোটা, বাসস্থান, ভূমি এই মৌলিক অধিকার যেগুলো রয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে যাতে এগুলো পূরণ করা হয়। এই দেশে আমরা মানুষ হিসেবে আছি চা বাগানের চা শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়া জাতি এবং অনেক পেছনে রয়েছি এই দেশের সঙ্গে তাল মিলাতে হলে আমাদের কাছে সরকারকে আসতে হবে, চা শ্রমিকদের কথা বলতে হবে চা বাগানের মালিকদের।

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী পারভেজ কৈরী বলেন, চা শ্রমিকদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ধরণের কাজ করে এনজিও সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। আমাদের কাছে চা শ্রমিকরা তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র শেয়ার করেন। তিনি বলেন চা শ্রমিকরা জানান, বর্তমান বাজারে অল্প মজুরি দিয়ে ভালোমতো তারা পরিবার চালাতে পারে না। তাদের সন্তারদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ নানা খরচ রয়েছে। তিনি বলেন চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে চা শ্রমিকদের জীবনমানের আরও উন্নয়ন করতে হবে। সরকারের কাছে তাঁর দাবি হলো, দৈনিক মজুরি বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা, বোনাস, পেনশন, স্বাস্থ্যবীমা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা, চা বাগান এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা, শ্রমিকসহ শ্রমিক পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য বীমার ব্যবস্থা করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রতিষেধক প্রদান করা, প্রতিটি চা বাগান এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে চা শ্রমিক সন্তানদের সুবিধা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশে কাজের নিশ্চয়তা, কাজের সময় ও শর্তাবলী শিথিল করা, ২০ মে চা শ্রমিক দিবস-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং আবাসস্থলের মালিকানা প্রদান করা।

মৌলভীবাজার শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াসহ নানা বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলে স্থাপিত বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর। চা শ্রমিকদের আবাসনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় বিবেচনায় আছে। তা ছাড়া ইতোমধ্যে ২৬৫ জন চা শ্রমিকের প্রত্যেককে সরকারিভাবে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর দেওয়া হয়েছে। ৩৫ হাজার শ্রমিককে প্রতি বছর ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান মৌলভীবাজার শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, চায়ের ইতিহাসে উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে গত বছর। চা বোর্ড, বাগান মালিক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র চাষিসহ সবার দলগত সাফল্যে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। দেশে চায়ের চাহিদা ৯ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ কেজি। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বাড়তি চা রপ্তানিতে নজর দিতে হবে। 

চাযের গুণগত মান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়ের ন্যায্য মূল্য পেতে হলে চায়ের গুণগতমান আরও বাড়ানোর বাগান সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। গুণগত মান থাকলেও দাম পাওয়া যাবে এবং রপ্তানি বাজারও সম্প্রসারিত হবে। চা বোর্ডের পক্ষ থেকে গত বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে। তাতে আগের বছরের তুলনায় চায়ের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

১৬৫০ খিস্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। আর ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খিস্টাব্দে। ১৮৫৫ খিস্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু হয় বাণিজ্যিক চা-চাষ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির জনক অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে আজ বিভিন্ন চা কোম্পানি/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগান টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা-বাগান ক্যাটাগরিতে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ পুরস্কার পেয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শার্ট ডাউনে পর্যটন বিপর্যয়: কুয়াকাটা সৈকতে নেই পর্যটকের ভিড়

শার্ট ডাউনে পর্যটন বিপর্যয়: কুয়াকাটা সৈকতে নেই পর্যটকের ভিড়

মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিএনপির বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিএনপির বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মওলানা ভাসানী জাতীয় ইতিহাসের অবিস্মরণীয় নাম: তারেক রহমান

মওলানা ভাসানী জাতীয় ইতিহাসের অবিস্মরণীয় নাম: তারেক রহমান

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি, বাড়তি সতর্কতা

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি, বাড়তি সতর্কতা

পুলিশের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনে বড় পরিবর্তন: ১৫ কর্মকর্তা রদবদল

পুলিশের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনে বড় পরিবর্তন: ১৫ কর্মকর্তা রদবদল

সর্বশেষ সংবাদ

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

ঢাকায় ফের ভূমিকম্প: বিকেল ৬টা ৬ মিনিটে ৩.৭ মাত্রার কম্পন

ঢাকায় ফের ভূমিকম্প: বিকেল ৬টা ৬ মিনিটে ৩.৭ মাত্রার কম্পন

দিনাজপুরে মিনিবাস–অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

দিনাজপুরে মিনিবাস–অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

পদ্মা ব্যারেজ হলে রাজবাড়ী হবে উন্নত শহর - প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

পদ্মা ব্যারেজ হলে রাজবাড়ী হবে উন্নত শহর - প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট—চ্যালেঞ্জের মুখে ইসি: সিইসি

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট—চ্যালেঞ্জের মুখে ইসি: সিইসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ওছখালী জিরো পয়েন্টে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে, যখন সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীরা ওছখালী বাজারে একটি মশাল মিছিল বের করে। তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের

দিনাজপুরে মিনিবাস–অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

দিনাজপুরে মিনিবাস–অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

দিনাজপুর দশমাইল মহাসড়কের নশিপুর গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে মিনিবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের কুতইড় মাঝাপাড়া গ্রামের মর্জিনা খাতুন (৫৫), মাজিয়া বেগম (১৫), তানজিলা আক্তার (পরিচয় নিশ্চিত নয়) এবং এক অজ্ঞাত শিশুসহ মোট চারজন। আহত ব্যক্তি ও

পদ্মা ব্যারেজ হলে রাজবাড়ী হবে উন্নত শহর - প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

পদ্মা ব্যারেজ হলে রাজবাড়ী হবে উন্নত শহর - প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

ভারতের ফারাক্কা বাঁধের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে রাজবাড়ীর পাংশায় পদ্মা ব্যারেজ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজবাড়ী নান্নু টাওয়ার কনভেনশন সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। মনির হায়দার বলেন, “ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে ফেলা

‘সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, অনিয়ম হলে বুলেট হয়ে গর্জন করুন’ — জামায়াত আমির

‘সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, অনিয়ম হলে বুলেট হয়ে গর্জন করুন’ — জামায়াত আমির

বাংলাদেশ হিযবুল্লাহ জমিয়াতুল মুছলিহীনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি জাতীয় প্রত্যাশাকে সামনে রেখে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নেছারাবাদ দরবার কমপ্লেক্সের মাহফিল ময়দানে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি বলেন, “একটা সুষ্ঠ নির্বাচনের পিপাসা নিয়ে জাতি এখন অপেক্ষা করছে। এই নির্বাচনে অতীতের মতো কোনো ইঞ্জিনিয়ার, কোনো ম্যাকানিজম অথবা ভোট কেটে

সিরাজগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আয়োজনে মাসিক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার,(২২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন, সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিন। কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, পুলিশসহ অংশীদারী সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটগণের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স। অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সকলের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে