সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫২১ আশ্বিন, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

বাংলাদেশ

চা-শিল্প টিকিয়ে রাখতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রয়োজন: সভায় বক্তারা

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৪, ৩:২৮

শেয়ার করুনঃ
চা-শিল্প টিকিয়ে রাখতে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রয়োজন: সভায় বক্তারা
চা
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমূখী চা শিল্প' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ সারা দেশে আজ ৪ জুন চতুর্থ বারের মতো জাতীয় চা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আইপিডিএস ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগীতায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় (লেবার হাউস) এর সভাকক্ষে জাতীয় চা দিবসটি উদযাপন করা হয়৷ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালির আয়োজন করে সংগঠনটি৷

বাচাশ্রই সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি বৈশিষ্ট্য তাতি, সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ, জেসমিন আক্তার, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি, বাচাশ্রই বালিশিরা ভ্যালীর সাংগঠনিক সম্পাদক কর্ন তাতি প্রমুখ। 

আরও

বরাটে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

বরাটে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

সভায় বক্তারা বলেন, চা-শিল্প বড় একটি শিল্প। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের চা শিল্পাঞ্চলের ১৬৭টি চা বাগান জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়ার মূল শক্তি চা শ্রমিক ও কর্মচারীরা। তাদের শ্রমেই এ শিল্পের মালিকদের বড় বড় অট্টালিকা আর অভিজাত জৌলুস গড়ে উঠেছে। পরিত্যক্ত জমি নিজের শ্রম ও ঘাম দিয়ে আবাদ করে মূল্যবান চা উৎপাদন করে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। তাদের চা পৃথিবীর ২৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু চা শ্রমিকরা সব নাগরিক সুবিধা ভোগের অধিকার সমভাবে প্রাপ্য হলেও তারা নানাভাবে এখনও বৈষম্যের শিকার। এখনও তাদের জীবনমানে কাঙ্খিত মানের নয়। 

২০২৩ সালে বাংলাদেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত বছর দেশের ১৬৭টি বাগান ও ক্ষদ্রায়তন চা–চাষিদের হাত ধরে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ২০২১ সালে। সে বছর দেশের সব বাগান মিলিয়ে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল, এখন সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ডে পরিণত হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড ২০১৯ সালে। ওই বছর চা উৎপাদিত হয়েছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি।

আরও

মেহেরপুরে প্রথম আলো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কালবেলা প্রতিনিধির মামলা

মেহেরপুরে প্রথম আলো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কালবেলা প্রতিনিধির মামলা

চা বাগান মালিকরা জানান, চা দিবস উদযাপন হবে প্রতি বছর, কিন্তু চা শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এখন থেকেই ভাবতে হবে। কারণ হলো চায়ের উৎপাদন ভালো,  কিন্তু গুণগত মান না থাকায় চা বাগানের মালিকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এক কেজি চায়ের খরচ প্রায় ২৫০ টাকা, কিন্তু অকশনে বিক্রি হয় ১৫০-১৮০ টাকা, কোন সময় ১০০ টাকা। তবে চলতি বছর ২০২৪ সালে  চা বোর্ড থেকে মূল্য নিধারণ করেছে মিনিমাম একটি দামে বিক্রি করার জন্য।  এতে করে চায়ের গুণগত মান না থাকায় সেই দামে অকশনে চা বিক্রি হচ্ছে না। ফোর প্রাইসের বাগানর চা সর্বোচ্চ ৬১০ দামে কেজি বিক্রি হয়েছে, যা অল্প কয়েক কেজি চা। ফলে লাভবান হচ্ছেন ব্রোকার্স ও বায়াররা আর বাগান মালিকরা লাভের মূখ দেখছেন না। চা বিক্রি করতে হলে বাগান মালিকরা নিলামে বিক্রি করতে হয়। সাধারণত বাগান মালিকরা বাগান থেকে পাতা তুলে চা তৈরির পর তা গুদামে পাঠান। ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চায়ের মান নির্ধারণ করে। এরপর প্রতি সপ্তাহে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে চা বিক্রি করা হয়। 

একাধিক চা-বাগান মালিকরা জানান, বিদ্যুৎ, কীটনাশক, শ্রমিক মজুরি ইত্যাদি বাড়তি থাকায় তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। চায়ের ন্যায্য মূল্য না পেলে যেকোনো সময় চা শিল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম। 

চা শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও আমরা যারা বাগানে চা পাতা তুুলি, বাগানে কাজ করি আমাদের ছেড়ে যায়নি দারিদ্র্যতা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চা বাগানে কাজ করি আমরা। প্রতিবছর মে দিবস এবং জাতীয় চা দিবস আসে আবার চলে যায়। কিন্তু আমাদের নিজস্ব ভূমি থেকে শুরু করে বেতন- মজুরি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মপরিবেশসহ জীবনমান উন্নয়নের নেই কাঙ্খিত অগ্রগতি। এখনও অনেক শ্রমিককে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে চা পাতা তুলতে হচ্ছে।

তবে কয়েক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে   চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান, কাজের পরিবেশ, মজুরি,স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান ও শিক্ষা ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বলেও তারা স্বীকার করলেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা এখনও বৈষম্য ও শোষণের শিকার এ কথাও যোগ করেন।

চা শ্রমিকরা জানান, কাজের পরিবেশ কিছুটা উন্নত হলেও যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, স্বাস্থ্যসেবা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে মজুরি এখনও অনেক কম। দৈনিক মজুরি এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা পর্যাপ্ত নয় বলেও তারা জানান। 

শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের পিংকি গোয়ালা, লছমী রাজভর, আলীনগর চা বাগানের রেবতি রিকিয়াশনসহ নারী শ্রমিকরাও জানান, তারা ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা সেরে কাজে বের হন আর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে রান্নাবান্না করেন। এটি চা বাগানের বেকার নারীদের প্রতিদিনের চিত্র। এভাবেই চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম। বস্তির অতি দরিদ্র ও চা শিল্পে শ্রমজীবীদের একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে বেকার। চা বাগানের নারীদের কাছ থেকে সস্তায় শ্রম পাওয়া যায়।

শ্রীমঙ্গল চা বাগান নারী শ্রমিক পারভীন বেগম ও শেফালি কর বলেন, পেটের দায়ে যখন যে কাজ পাই সেটা করতে আমরা বাধ্য হই। তারপরও দেড়শ কিংবা দুইশ টাকা রোজ দেওয়া হয়। এটি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। আর পুরুষরা কাজ করলেই তিন থেকে চারশ টাকা পান। আমরাও পুরুষদের চেয়ে কাজ কম করি না। তবে পারিশ্রমিক কম পাই। তারা জানান, প্রতি বছর চা বাগানের অনেক মানুষ নিয়ে আমরা মে দিবস পালন করি। আমাদের দুঃখ-দুর্দশা সবার কাছে তুলে ধরি। কিন্তু আমাদের এই আন্দোলন কে শুনবে, কী হবে আর মে দিবস পালন করে।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

আলাপকালে শ্রমিকরা আরও বলেন বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, এই অবহেলিত চা শ্রমিকদের বাসস্থানের জায়গাটুকু যাতে তাদের নিজের নামে করে দেওয়া হয়। যাতে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের যখন তখন ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে না পারে।

শ্রীমঙ্গলে বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি হলো চাকরির কোটা, শিক্ষা কোটা, বাসস্থান, ভূমি এই মৌলিক অধিকার যেগুলো রয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে যাতে এগুলো পূরণ করা হয়। এই দেশে আমরা মানুষ হিসেবে আছি চা বাগানের চা শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়া জাতি এবং অনেক পেছনে রয়েছি এই দেশের সঙ্গে তাল মিলাতে হলে আমাদের কাছে সরকারকে আসতে হবে, চা শ্রমিকদের কথা বলতে হবে চা বাগানের মালিকদের।

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী পারভেজ কৈরী বলেন, চা শ্রমিকদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ধরণের কাজ করে এনজিও সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। আমাদের কাছে চা শ্রমিকরা তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র শেয়ার করেন। তিনি বলেন চা শ্রমিকরা জানান, বর্তমান বাজারে অল্প মজুরি দিয়ে ভালোমতো তারা পরিবার চালাতে পারে না। তাদের সন্তারদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ নানা খরচ রয়েছে। তিনি বলেন চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে চা শ্রমিকদের জীবনমানের আরও উন্নয়ন করতে হবে। সরকারের কাছে তাঁর দাবি হলো, দৈনিক মজুরি বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা, বোনাস, পেনশন, স্বাস্থ্যবীমা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা, চা বাগান এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা, শ্রমিকসহ শ্রমিক পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য বীমার ব্যবস্থা করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রতিষেধক প্রদান করা, প্রতিটি চা বাগান এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে চা শ্রমিক সন্তানদের সুবিধা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশে কাজের নিশ্চয়তা, কাজের সময় ও শর্তাবলী শিথিল করা, ২০ মে চা শ্রমিক দিবস-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং আবাসস্থলের মালিকানা প্রদান করা।

মৌলভীবাজার শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াসহ নানা বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলে স্থাপিত বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর। চা শ্রমিকদের আবাসনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় বিবেচনায় আছে। তা ছাড়া ইতোমধ্যে ২৬৫ জন চা শ্রমিকের প্রত্যেককে সরকারিভাবে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর দেওয়া হয়েছে। ৩৫ হাজার শ্রমিককে প্রতি বছর ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান মৌলভীবাজার শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, চায়ের ইতিহাসে উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে গত বছর। চা বোর্ড, বাগান মালিক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র চাষিসহ সবার দলগত সাফল্যে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। দেশে চায়ের চাহিদা ৯ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ কেজি। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বাড়তি চা রপ্তানিতে নজর দিতে হবে। 

চাযের গুণগত মান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়ের ন্যায্য মূল্য পেতে হলে চায়ের গুণগতমান আরও বাড়ানোর বাগান সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। গুণগত মান থাকলেও দাম পাওয়া যাবে এবং রপ্তানি বাজারও সম্প্রসারিত হবে। চা বোর্ডের পক্ষ থেকে গত বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে। তাতে আগের বছরের তুলনায় চায়ের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

১৬৫০ খিস্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। আর ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খিস্টাব্দে। ১৮৫৫ খিস্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু হয় বাণিজ্যিক চা-চাষ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির জনক অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে আজ বিভিন্ন চা কোম্পানি/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগান টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা-বাগান ক্যাটাগরিতে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ পুরস্কার পেয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে টেলিগ্রাম ও বোটিম বন্ধ!

শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে টেলিগ্রাম ও বোটিম বন্ধ!

সাত জেলায় বন্যার পূর্বাভাস, বাড়ছে নদীর পানি

সাত জেলায় বন্যার পূর্বাভাস, বাড়ছে নদীর পানি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে ইইউ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে ইইউ

নভেম্বর থেকে টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন পাঁচটি পণ্য

নভেম্বর থেকে টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন পাঁচটি পণ্য

খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় নিহত তিন যুবকের পরিচয় প্রকাশ

খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় নিহত তিন যুবকের পরিচয় প্রকাশ

সর্বশেষ সংবাদ

বরাটে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

বরাটে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণ, ৭ জেলায় বন্যার আশঙ্কা

আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণ, ৭ জেলায় বন্যার আশঙ্কা

রাজনৈতিক দলগুলো একমত, জুলাই সনদ গণভোটে এগিয়ে

রাজনৈতিক দলগুলো একমত, জুলাই সনদ গণভোটে এগিয়ে

শিক্ষাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী আর নেই

শিক্ষাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী আর নেই

রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের সতর্কতা

রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের সতর্কতা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

বরাটে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

বরাটে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

"সুস্থ্য দেহে সুন্দর মন, গড়ে তোলে ক্রীড়াঙ্গন"- 'একটি ফুটবল, একটি পৃথিবী' এ স্লোগানে রাজবাড়ী সদরের বরাট ইউনিয়নে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী বরাট একতা ক্লাবের আয়োজনে বরাট একতা ক্লাব মাঠে এ প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গোয়ালন্দ সোনালী অতীত ক্লাব বনাম বরাট একতা ক্লাব একে অপরের মোকাবেলা করে। নির্ধারিত সময়ের

শিক্ষাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী আর নেই

শিক্ষাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী আর নেই

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের শিক্ষাঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, গোপালপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী আর নেই। রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে, তিনি গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল এলাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী ছিলেন গোপালপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, এবং সুজন – সুশাসনের জন্য নাগরিক (গোপালপুর উপজেলা কমিটি)-এর

মেহেরপুরে প্রথম আলো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কালবেলা প্রতিনিধির মামলা

মেহেরপুরে প্রথম আলো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কালবেলা প্রতিনিধির মামলা

দৈনিক কালবেলার মেহেরপুর প্রতিনিধি খান মাহমুদ আল রাফি প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করেছেন। আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) মেহেরপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ নাসির উদ্দিন ফরাজি মামলাটি গ্রহণ করে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, আবু সাঈদ প্রতিহিংসাবশত ও ইচ্ছাকৃতভাবে লন্ডন প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শাহীনকে

দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের স্বাস্থ্য সহকারীরা

দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের স্বাস্থ্য সহকারীরা

দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মাঠপর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকর্মীদের নিয়োগবিধি সংশোধন, স্নাতক সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিত করার দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্টেন্স এসোসিয়েশন গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর

মাত্র ১৩ সেকেন্ডের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ গ্রাম

মাত্র ১৩ সেকেন্ডের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ গ্রাম

মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাঁচটি গ্রাম। রবিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে হঠাৎ প্রচণ্ড গতির ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। আহত হয়েছেন কয়েকজন মানুষ ও গবাদিপশু। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাড়িয়া ইউনিয়নের পিয়াজুপাড়া, সুতাহারপাড়া, রায়মহল ও ভিতারবাড়ী এবং বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাদামাবাড়ী এলাকায় এই ঝড় আঘাত হানে।