প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৪, ৩:১৭
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ৫ জুন বুধবার সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠানের জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে ব্যালট পেপার ব্যতীত ভোট কেন্দ্র গুলোতে নির্বাচন সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। ভোট কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান নিয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ নির্বাচন পরিপন্থী কর্মকান্ড রুখে দিতে ১২টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় নিয়োজিত রয়েছে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধীর আগ্রহে রয়েছেন ভোটাররা।
কলাপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। আর রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, কলাপাড়ায় ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ৭৪টি। এরমধ্যে ৪০টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝূঁকিপূর্ন, ৩৪টি কম ঝূঁকিপূর্ন। সবগুলো কেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ন বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের জন্য পুরো নির্বাচনী এলাকা সহ ভোট কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোষ্টগার্ড সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, প্রতি ভোট কেন্দ্রে থাকবে একজন এএসআই/এসআই’র নেতৃত্বে ৪ সদস্যের পুলিশ সদস্য ও ১০ জন আনসার সদস্য। একজন এসআই/ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে থাকবে ৫ সদস্যের টহল পুলিশ টিম। প্রতি ইউনিয়নে একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে থাকবে ১০ সদস্যের পুলিশ ষ্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব ও বিজিবি’র ষ্ট্রাইকিং ফোর্স।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো: মোস্তফা কামাল বলেন, ’ব্যালট পেপার ব্যতীত ভোট কেন্দ্র গুলোতে আমরা প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন সরঞ্জামাদি পাঠানো শেষ করেছি। বুধবার সকালে ভোট কেন্দ্র গুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
মোস্তফা কামাল আরও বলেন, সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত, র্যাব , কোষ্ট গার্ড, বিজিবি, পুলিশের সমন্বয়ে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ১০ জন কর্মকর্তা ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। অনেক সাংবাদিকরা মাঠে পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আশা করি আমরা একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।