প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১:৯
আজ রাতে কয়েকজন রিকশা চালক এমন করে জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হলেও যাত্রী কম। শীতের কারণে সকালে বের হতে পারি না। সন্ধ্যার আগে ফিরে আসতে হয়। শীতের কাপড় না থাকায় রাতভর শীতে কাঁপতে থাকি। যে কাপড় আছে তা দিয়ে শীত মানে না।দিনের বেলায় সামান্য সময়ের জন্য দেখা মেলে সূর্যের।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কমতে থাকে তাপমাত্রা। বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। সকাল পর্যন্ত ঠাণ্ডার কারণে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দেয় সর্বত্রে। শীতের শুরুতে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলেও দুই দিনের ব্যবধানে তা কেটে যায়। ইতোমধ্যেই ভাটি অঞ্চল সহ বিভিন্ন প্রান্তে জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র শীত মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলছে।
গত কয়েক দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে, বইছে মৃদু ঠান্ডা বাতাস। সরাইলে দিনে সুর্যের তাপ থাকলেও রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা বাড়তে থাকে। শীতের কারণে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ ও দিনমজুরেরা।বিশেষ করে দরিদ্র ও সমাজের ছিন্নমূল মানুষ যখন শীতের কাপড়ের অভাবে কষ্ট পায়। শীত যত বাড়ছে তাদের জীবন যেন তত দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।
বৃদ্ধ ও শিশুদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এদিকে উপজেলা বিভিন্ন মোড় ঘিরে ফুটপাতে জমেছে গরম কাপড়ে ভ্রাম্যমান দোকান। সেখানে নিম্নশ্রেণির শুরু করে সকলেই কাপড় কিনতে দেখা যায়। হাসপাতালগুলোতে এই সময় শীতজনিত নানা রোগব্যাধিও দেখা দেয়। শীত মৌসুমে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত নানা রকম রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। ডায়রিয়া, জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয় শিশুরা।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কর্মকর্তা ডা.মো.নোমান মিয়া বলেন,শীত মৌসুমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ঠান্ডা যাতে না লাগে শিশু বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে হবে। ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।সরাইলে জেঁকে বসেছে শীত। রাতভর ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ফুটপাতে থাকা মানুষগুলো। মানবেতর অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে তাদের জীবন।এই মানুষগুলোর শীতের পোশাক না থাকায় ছেড়া কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণ করে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন।
তীব্র শীতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। কাজ করতে শারীরিকভাবে অসমক্ষ হওয়ায় অন্যের ওপরে নির্ভর করেই চলে অনেকের জীবন। উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরাইল বসবাসকারী কয়েকজন জানান, শীতের কারণে সন্ধ্যার পরে রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল কমে যায়।এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া বলেন,শীত নিবারনের জন্য শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় কম্বল বিতরণ শুরু করা হয়েছে।