প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ১:৫৫
মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্ত্রী এখনও জানেন না তার স্বামীর মৃত্যুর খবর। জ্ঞান ফেরার পরেই জানতে চেয়েছেন স্বামী ও দুই পুত্র সন্তানের কথা। এদিকে নিহতের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি ও শোকের মাতম।
নিহত সোহাগের দুই ছেলে পাঁচ বছর বয়সি জিসান ও দেড় বছর বয়সি জিহাদ তাদের বাবা আর নেই বিষয়টি যেন বুঝতেই পারছে না। তাদের ধারনা তাদের বাবা বাজারে গেছেন তাদের জন্যে জামা আনতে। শুক্রবার বিকেলে এই সব কথা জানিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তানের জন্য জামা-কাপড় কিনে বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার উপজেলার বেগমাবাদ এলাকায় মাইক্রোবাস সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে শেখ সোহাগ (৩২) নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় নিহতের স্ত্রী এবং চালক সহ সিএনজির আরও ছয় যাত্রী আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহত সোহাগ দেবীদ্বার পৌর এলাকার বালিবাড়ি গ্রামের মৃত শেখ আবুল হাসেমের বড় ছেলে। সে পেশায় পিকআপ চালক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শেখ সোহাগ তার স্ত্রী হালিমা আক্তারকে নিয়ে কালিকাপুর বাজার থেকে দুই পুত্র সন্তান ও পরিবারের সবার জন্য কাপড় কিনে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে বেগমাবাদ এলাকায় বিপরিত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে তাদের সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং সিএনজিটি সড়ক থেকে ছিটকে পার্শবর্তী নিচু জমিতে পড়ে যায়।
এদিকে পোস্টমর্টেম শেষে শুক্রবার বাদ আছর বালিবাড়ি-হামলাবাড়ি ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সোহাগের লাশ দাফন করা হয়েছে।
মীরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীর জানান, মাইক্রোবাস এর সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সোহাগ নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার লাশ পোস্টমর্টেম শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর আহত ৬ জনই কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে লাশ দাফন শেষে সন্ধ্যায় মামলা করবে।