প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১:২৫
প্রধানমন্ত্রীর নিকট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত নির্দেশনা প্রদানের জন্য স্মরকলিপি প্রদান করেছে প্রত্যাশা চাইল্ড ফোরাম ধামইরহাট এবং ফোর্সেস বাংলাদেশ। সোমবার বিকেল ৫টায় নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, 'চাইল্ড ফোরাম 'একটি শিশু সংগঠন যা শিশুদের অংশগ্রহণে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। "ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ" আমাদেরকে সহায়তা করে থাকে । ইতিপূর্বে আমরা আপনার নিকট শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেছি এবং আপনার সু-চিন্তিত নির্দেশনাও পেয়েছি। আবারও আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ধামইরহাট উপজেলা শিশু ফোরামের সভাপতি আকাশ মন্ডল , যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক তৃষা রাণী , পিএফএ'র সভাপতি জুথী রাণী এবং শিশু ও যুব উন্নয়ন ফোরামের সহ-সভাপতি মুরাদুজ্জামান মুরাদ ,সাধারণ সম্পাদক দিপা বর্মন ।
শিশু ও যুব উন্নয়ন ফোরামের সহ-সভাপতি মুরাদুজ্জামান বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, " মহিলা ও শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে রাষ্ট্রকে কোন কিছুই বিরত রাখতে পারবে না। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও দায়বদ্ধতাকে সুস্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে এবং শিশু অধিকারকে সম্মান প্রদর্শন করে শিশুদের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা, আইন, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন সহ এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করেছে । বর্তমানে বাংলাদেশে ১৮ বছরের কোন বয়সের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। এই বিশাল জনগোষ্ঠী বিভিন্ন মানের অর্থ সামাজিক অবকাঠামোতে বেড়ে উঠেছে, যার ফলে শিশুদের জীবন বহুমাত্রিক সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত। কোন একটি নির্দিষ্ট কর্মসূচি দিয়ে অথবা একমুখী পরিকল্পনা দিয়ে শিশুদের জীবনের সকল সমস্যাকে সমাধান করা সম্ভব নয়। এর জন্য পরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি কার্যকর বাস্তবায়ন ও সকল ক্ষেত্রে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করার জন্য সর্বক্ষেত্রে সুসমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সংগঠনের সাধারণ দিপা বর্মন বলেন, ২০২০ সালের পর এ বিষয়ে সরকারের আর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি । মাননীয় মন্ত্রী, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সম্প্রতি এ বিষয়ে সরকারের সহযোগী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন । বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে পৃথক শিশু অধিদপ্তর বিকল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পন্ন ভিন্ন হওয়ায় একটি কখনো আরেকটির বিকল্প হতে পারে না। তাই শিশুদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শিশু বিষয়ক সকল উন্নয়ন, পরিকল্পনা ,আইন ও নীতিমালার কার্যকর ও সঠিক বাস্তবায়নে দ্রুততার সাথে একটি পৃথক শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।