প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১:৫৮
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর ক্যানাল ঘাটে রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে ভাসছিল অজ্ঞাত একটি লাশ।
খবর পেয়ে বেলা ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের ওসি সিরাজুল কবির ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক দুটি দল সেখানে হাজির হন।
প্রায় এক ঘন্টা উর্দ্ধর্তন বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলা শেষে তারা লাশটি পানি থেকে উপরে তোলার উদ্যোগ নেন। এ পর্যায়ে দুই কর্মকর্তা তার সহকর্মী ও স্হানীয় লোকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। কিন্তু অধিকাংশের মধ্যে পাশ কাটিয়ে যাবার একটা প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়।
এক পর্যায়ে নৌ-ফাঁড়ির ওসি জেএম সিরাজুল কবির নিজেই রশি নিয়ে হাঁটু পানিতে নেমে পড়েন। তিনি লাশটি উপরে তোলার জন্য নিজেই লাশটির পা রশি দিয়ে বাঁধতে শুরু করেন।
এ পর্যায়ে দুই/তিনজন কনস্টেবল এগিয়ে গিয়ে ওসির কাজে সহযোগিতা শুরু করেন। তারা লাশের মাথার দিকটায় রশি দিয়ে বেঁধে উপরে তুলতে চেষ্টা করেন। কিন্তু লাশটি বেশ ভারি হওয়ায় তারা পারছিলেন না।
এ পর্যায়ে স্হানীয় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদীর খাড়া পাড় ডিঙিয়ে লাশটি উপরে তোলা সম্ভব হয়।
স্থানীয় হাবিব নামে একলোক বলেন, ওসি সাহেব একজন বয়স্ক মানুষ। তিনি জোড়ালোভাবে নির্দেশ দিলে কনষ্টেবলরা শুরুতেই নেমে লাশ তোলার কাজ শুরু করতেন। কিন্তু তিনি তা না করে একটা বিকৃত, উলঙ্গ ও ফুলে যাওয়া লাশ উপরে তুলতে নিজ হাতে যেভাবে কাজ শুরু করেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি শুধু মুখে নির্দেশ না বলে যে কোন কাজে নেতা বা উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের এভাবেই সামনে থেকে কাজ করা উচিত।
এ বিষয়ে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি জে এম সিরাজুল কবির বলেন, এটা আমার ডিউটি। আমি এগিয়ে গিয়েছি পরে আমার সহকর্মী ও স্হানীয় কিছু যুবক এগিয়ে এসেছেন। আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।