প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২২, ০:৩৫
আজ (৬ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগর ও নদীতে শুরু হচ্ছে ২২ দিনের ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর।
সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে সমুদ্রে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। ইতিমধ্যে পটুয়াখালীর মহিপুর-আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ উপকুলের বিভিন্ন নদ নদীতে এসে আশ্রয় নিয়েছে শত শত সমুদ্রগামী মাছধরাা ট্রলার। এখনও অনেক ট্রলার সমুদ্রে থাকলেও আজ রাত ১২টার পুর্বেই তীরে ফিরে আসবেন এমনটাই জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
অবরোধের শেষ মুহুর্তে এসে সমুদ্রে ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ জেলে এবং ব্যবসায়ীরা। তবে অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের দেয়া প্রনোদনা বাড়ানো এবং জেলেদের রেশন কার্ড চালুর দাবী জানান তারা। জেলেদের অভিযোগ বঙ্গোপসাগরে অবরোধ থাকলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ অবরোধ নেই। তাই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করে আসছে প্রতি বছর।
বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় যাতে ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারে এজন্য নৌ-বাহিনীর টহল জোরদারের দাবী জানিয়েছেন মৎস্য জীবিরা। কুয়াকাটা পৌরসভাসহ উপজেলার নিবন্ধিত সকল ইলিশ শিকারী জেলেদের অবরোধকালীন সময়ে ২০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
কুয়াকাটা আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ নিজাম শেখ বলেন, সমুদ্রে ২২ দিনের অবরোধ মেনে জেলেরা সকলে সমুদ্রে থেকে তীরে ফিরে এসেছে। ইলিশের প্রজনন বাড়লে আমাদের (জেলেদের) লাভ। নিজাম শেখ আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন ২২ দিনের লম্বা সময় মাত্র ২০ কেজি চাল দেয়া হয় জেলেদের। যা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো খুবই কস্টকর। ভারতীয় জেলেদের মত আমাদের দেশের জেলেদের রেশন কার্ড চালুর দাবী জানান তিনি।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন,সরকারের দেয়া আইন মেনে চলছে। আমাদের দেশের জেলেরা অবরোধে মাছ শিকার না করলেও ভারতীয় জেলেরা এই সূযোগে বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় জেলেদের রুখতে গভীর সমুদ্রে নৌ বাহিনীর টহল জোরদারের দাবী জানান তিনি।