প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২২, ২৩:৩৯
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সুরুজ্জামানকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। যদিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সুরুজ্জামান। সুরুজ্জামান উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের আব্দুল জলিলের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য সুরুজ্জামানের লাশ কুড়িগ্রামে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সুরুজ্জামান দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বাড়িতে ফিরে এসেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করতে বুধবার রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় থানা পুলিশের একটি দল। সুরুজ্জামান কয়েকদিন যাবত বমি, পাতলা পায়খানা ও পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয় সুরুজ্জামান ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে সাহস পাচ্ছিলেন না। পুলিশ মানবিক দিক বিবেচনা করে সুরুজ্জামান, তার মা ও ভগ্নিপতি আলমকে ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে পৌছে দেয়।
সুরুজ্জামানের মা জোবেদা বেগম তাকে হাসপাতালে ভর্তি করালে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সে মারা যায়। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ থানায় নিয়ে আসে।
সুরুজ্জামানের ভগ্নিপতি আলম বলেন, পুলিশের পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমার শ্যালককে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় সুরুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানি শূন্যতার কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করে পুলিশ সুরুজ্জামানকে গ্রেফতার না করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌছে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যাওয়ায় আইনগত দিক বিবেচনা করে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।