প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২২, ০:৩৪
ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে কড়ইকান্দি গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোর আলম (১৬)। শুক্রবার (১৮মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের বালুপাড়া নামক স্থানে ঘুরাঘুরি করছিল। এসময় বদলগাছী থানার টহলরত উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার পকেটে থাকা চিরিকুট থেকে ঠিকানায় পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। আলম কড়ইকান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ ( রবিবার) দুপুর ২টার দিকে তার পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার বালুপাড়া নামক স্থানে আলম রাস্তায় ঘুরাঘুরি করছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে এ.এস.আই মিজানুর রহমান ছেলেটিকে জিঙ্গাসাবাদ করে কোন তথ্য পাননি। এমনকি তার আচার আচরণ ও কথা অসঙ্গতি মনে হচ্ছিল। এক পর্যায়ে তার পকেটে থাকা একটি চিরিকুট (কাগজ) লেখা ঠিকানার সূত্র ধরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। ছেলেটি মানসিক প্রতিবন্ধী বলে থানা পুলিশ জানায়।
থানার উপরিদর্শক (এসআই) মোনোয়ার এর সহযোগিতায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেক্সের সহায়তায় আলমকে তার বাবা ও ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছেলেকে ফিরে পাওয়ায় থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান আলমের বাবা জামাল উদ্দিন।
এ ব্যপারে আলম জানায়, নিজের ঠিকানা আমার জানা ছিলনা। তবে বাবাও ভাইকে চিনতে পেরেছি। ট্রেনে করে ঘুরতে ঘুরতে চলে এসেছি। ঠিকমতো কোথাও খাওয়া দাওয়া করতে পারিনি।
আলমের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) আলম ঢাকার জুরাইনের রি-রোলিং কারখানার সামনে থেকে হারিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে হতাশ হয়েছিলাম। ইতিপূর্বেও প্রায় এক বছর আগে ছেলেটি হারিয়ে গিয়েছিল। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ফিরে পাই। কিন্তু এবার কোন জিডি ছাড়াই ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে কিছু বলতে পারিনা।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর ইসলাম বলেন, আলমের কথাবার্তা অসংগ্ন মনে হচ্ছিল। নিজের পরিচয় ঠিকমত বলতে পারেনা। তাকে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছিল। তার পকেটে থাকা কাগজে লিখা ঠিকানার সূত্র ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার বাবা জামাল উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। চিরকুটে এলাকার নাম ঠিকানা লিখা ছিল কিন্তু সেটা খুব বেশি স্পষ্ট নয়। তবুও চেষ্টা করে খুঁজে বের করা হয়েছে। পরিবারের সন্তানকে ফিরে পেয়েছে। তাদের আনন্দ দেখে নিজেরও খুব ভালো লাগছে।