প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৩০
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে চায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। দ্রব্যের মূল্য নিয়ে কারসাজিতে ছাড় পাবেন না কোনো ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক। এদিকে সভায় লাগামহীন দাম নিয়ে পরস্পরকে দোষ দিয়েই নিজেদের দায়মুক্ত করেন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে আসা ব্যবসায়ীরা নেতারা।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে বরাবরই সড়কে পরিবহন চাঁদাবাজিকে দায়ী করেন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। পণ্যের দাম নিয়ে ভোক্তারা বলেন, পণ্য কিনে তা পরিবহন করে নিয়ে আসে। তারপর আবার ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। এ সব চাঁদাবাজির পর বেশি ভোগান্তি শেষে এগুলো ঢাকা শহরে আসে। এর জন্য দাম বেড়ে যায়।
সামনে রমজান মাস। আশঙ্কা রয়েছে, পণ্যের দাম আরও বাড়ার। বিগত দিনের এমন অভিজ্ঞতা থেকেই পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৈঠকে বসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বৈঠকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পাইকাররা জানালেন, দাম নিয়ে কারসাজি করেন খুচরা বিক্রেতারা। আর বাজার নিয়ন্ত্রণে পাইকারি পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এসময় খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে পাইকারি বাজার ও আমদানিকারকদের সহজে পণ্য বাজারে আনতে হবে। পরে তা খুচরা বাজারে সরবরাহ করতে হবে। পণ্যের দাম আপনারা সুন্দরভাবে নির্ধারিত করে দেবেন। দাম নির্ধারিত থাকলে আমাদের আর কোনো অসুবিধা হবে না।
এদিকে পণ্যের দাম বৃদ্ধির দায় খুচরা ব্যবসায়ীদের মাথায় দিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের নেতারা বলেন, যারা আমাদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে আসে, তারা যখন দেখে আমরা একটি স্টিকার লাগিয়েছি, তখন তারা সেই স্টিকারগুলো উঠিয়ে খুচরাই পণ্য বিক্রি করে।
ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় ব্যবসায়ীদের কঠোর বার্তা দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি জানালেন, সংস্থার কোনো কর্মকর্তা অসৎ পথ অবলম্বন করলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা রয়েছে। পথে পথে চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক করব। সেখানে পরিবহন খাতের মানুষও থাকবে। সাপ্লাই চেইনের সবাই যেমন- খুচরা পর্যায়, ডিলার থেকে শুরু করে প্রয়োজনে বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সে পর্যন্ত আমরা যাব।
বাজার নিয়ন্ত্রণে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেওয়ার আইন অমান্য করলেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।