প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ৩:৩১
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে পুলিশের ৩৭ সদস্য চাকরি হারিয়েছেন বলেন জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহর চতুর্থ দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান বলেন, বাংলাদেশে পুলিশই প্রথম ‘ডোপ টেস্ট’ চালু করে। ডোপ টেস্টে ধরা পড়লে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্টে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অন্য কোন বিভাগ আমাদের মতো সেভাবে ডোপ টেস্ট চালু করতে পারেনি। কোনও মাদকাসক্ত পুলিশে যোগদান করে কি না, সেটি আমরা প্রথমেই চেক করি। পরবর্তীতে প্রতিনিয়ত এই ডোপ টেস্ট করা হয়ে থাকে। কেউ যদি ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ উত্থাপিত হলে যে কোনো সময় সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। একইসঙ্গে পুলিশের বিভাগীয় ব্যবস্থা চালু থাকে এবং নিয়মিত মামলা হয়।
শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা ও হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে ডিআইজি হায়দার বলেন, অবশ্যই পুলিশ দপ্তর দেখছে, বিভাগীয় তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে যদি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।