প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৫৮
মধ্য রাতে (সোমবার ২৫ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধজ্ঞা। ট্রলার, জাল মেরামত শেষে দেড়- দু’সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এখন দল বেঁধে সাগরে যাত্রা করেছে উপকূলের অর্ধলড়্গাধিক জেলে ও কয়েক হাজার ট্রলার। ফলে কর্মচঞ্চল এখন উপকূলের জেলেপলস্নীসহ আড়ৎপাড়া। মন্দা কাটিয়ে মৌসুমের শেষ সময়ে সাগর-নদীতে মিলবে কাংখিত ইলিশ এমন প্রত্যাশা জেলেসহ মৎস্য বব্যসায়ীদের।
প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার শেষের দিকে গভীর সমুদ্র থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। তাই ২০০৬ সাল থেকে মা ইলিশ রড়্গায় ২২ দিন অবরোধ দিয়ে আসছে সরকার। এসময় সকল ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যনত্ম ২২দিনের জন্য মা ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য নদী ও সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষনা করে সরকার।
কর্মহীন এসময়ে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধলড়্গাধিক জেলে তাদের ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি ইঞ্জিণের কাজে শেষ করে সমুদ্রে গেছে। এবার প্রশাসনের তৎপরতা বেশি থাকায় উপকূল জুড়ে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তবে এ অবরোধের সময় বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে মাছ শিকার করে নিয়ে জেলেরা পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা এমনটাই দাবী করেছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্য বন্দর আলীপুরের জেলে সিদ্দিক, বেলস্নাল ও রম্নহুল আমিন মাঝি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সমুদ্রে যাচ্ছি। এবছর ইলিশের ভরা মৌসুমে মাছ না পেয়ে উপকূলের জেলেরা দেনাগ্রস' হয়ে পরেছেন। তবুও ইলিশের উৎপাদ বৃদ্ধিতে সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিল উপক'লের প্রায় অর্ধলড়্গাধিক জেলে। এবার সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরলে দায়দেনা শোধ করতে পারব।
কলাপাড়া উপজেলা ফিসিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, দেশের জেলেরা অবরোধ পালন করলেও ভারতের জেলেরা দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরছে । তাই ইলিশ উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রা সফল করতে দেশের জলসীমানা শতভাগ সুরড়্গা করতে হবে।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতি’র সভাপতি ফজলু গাজী বলেন, অবরোধের আগে মাছ ধরা পরেনি। যা ধরা পড়েছে তাও আকারে ছিল ছোট। আশা করছি এবার বড় সাইজের পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা’ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় দিনরাত কাজ করেছি।উপকূলের জেলেরা নিজেরাই সচেতন। জেলে-ব্যবসায়ীদেও সহযোগিতায় অবরোধ শতভাগ সফল হয়েছে। ২২দিনের অভিযানে ১ জন জেলের বিরম্নদ্ধে মামলা হয়েছে। ১৫ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।