প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৪৬
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাগজ-কলমে গ্রাহক সুরক্ষার কথা বললেও বাস্তবে তা দেখা মেলা ভার।ব্যাংকখাতের আকার বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গ্রাহক হয়রানিও।
জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনায় ২ যুগ আগের এক ঋনের দায়ে দিশেহারা অধ্যাপক খন্দকার তাবিন হাসান। সুদ, আসল সব শোধ করেও মিলছে না মুক্তি। তার মায়ের নামে জনতা ব্যাংক থেকে নেয়া ২০ লাখ টাকার ঋণের সবমিলিয়ে শোধ করেছেন ৬৬ লাখ টাকা। তবে ব্যাংক কর্তাদের অদ্ভুত সব অজুহাতে হচ্ছে না সমাধান। শেষ ভরসা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ধর্ণা। কিন্তু নির্বিকার বাংলাদেশ ব্যাংকও।
তাবিন হাসান বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বরাবর গত ১০ অক্টোবর সব প্রমাণসহ অভিযোগপত্র প্রেরণ করি। এখনও এর কোন উত্তর না পেলেও আশা করছি খুব শিগিগিরই পাবো।
দেশের ব্যাংকগুলোতে এমন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যাওয়া তাবিন হাসানের মতো গ্রাহক নেহায়েত কম নয়। তবে কদাচিতই মিলে সমাধান। উলটো কখনো কখনো পোহাতে হয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার। গ্রাহক হয়রানি রোধে বহুদিন ধরেই কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এফআইসিএসডি নামে আলাদা এক বিভাগ। তবে এর খোজই জানেন না বেশিরভাগ মানুষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলছেন, ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকরা যদি কোন সমস্যায় পরেন, অথবা ব্যাংক কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সাথে কোন রকমের দুর্ব্যবহার করলে সেটা সমধানের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর পরে।
গত এক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বিভাগে গ্রাহকদের অভিযোগ জমা পরে ১২ হাজার ৭৯৫টি। সমাধান পায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ করা ৩৭ শতাংশ গ্রাহক। এছাড়াও ৬৩ শতাংশ সমাধান হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলছেন, করোনার কারণে ফোনে ফোনে যেহেতু সব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সে কারণেই দেরি হচ্ছে। যদিও ব্যাংকগুলোতে ঝুলানো ১৬২৩৬ নম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের খুঁজে পাওয়া ভার।