প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২১, ২২:১০
দেবীদ্বারে ধর্ষণের স্বীকার এক বুদ্ধি প্রতিন্ধি নারী তার সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।বুদ্ধিপ্রতিন্ধি ওই নারীর পরিবারের পক্ষথেকে ২৪ জুলাই কুমিল্লা র্যাব-১১’র কার্যালয়ে অভিযোগ করলে ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সন্তান প্রসবের ১৪দিন পর র্যাব-১১’র সিপিসি-২ কুমিল্লার কেপিএস মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের ধর্ষক কাজী মোঃ সোহাগ মিয়া(২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে।
কাজী সোহাগ বারেরা গ্রামের কাজী মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং বিবাহীত জীবনে এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জনক। পেশায় একজন চা’ বিক্রেতা।রোববার সকালে কুমিল্লা র্যাব-১১’র সিপিসি-২’র উপ-পরিচালক কোম্পানীর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য প্রকাশ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় অভিযুক্ত সোহাগ গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বুদ্ধিপ্রতিন্ধি নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার ফলে উক্ত প্রতিবন্ধি নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন।ভিক্টিম গর্ভবতী হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, সোহাগ তাকে বিভিন্ন সময়ে বারেরা কাজীবাড়ির একটি ভবনের ছাদের উপর নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধি নারী তার হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করলেও সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা উক্ত বিষয়ে সোহাগ এবং সোহাগের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে। তাদের ভয়ভীতি ও হুমকী ধমকী এবং সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে কারো কাছে প্রকাশ এবং আইনের আশ্রয় নেয়নি।
এক পর্যায়ে গত ১০ জুলাই পুত্র সন্তান প্রসব করার পর ভিক্টিমের পরিবার ২৪ জুলাই র্যাব-১১’র সিপিসি-২ কুমিল্লার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সোহাগকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বুদ্ধিপ্রতিন্ধিওই নারীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ এবং তার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হওয়া এবং সন্তান প্রসবের বিষয়টি সে স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দেবীদ্বার থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। (মামলা নাম্বার- ২১, তারিখ- ২৫/০৭/২০২১ইং)।র্যাবের অভিযানে আসামী গ্রেফতার সহ থানায় মামলা হলেও রোববার বেলা ১টায় এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) মোঃ আরিফুর রহমান’কে ফোন করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবনা।