রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় নব নির্মিত ৭ নং ফেরিঘাট ও ঘাট সংলগ্ন অর্ধশত পরিবার ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে।
নব নির্মিত ৭ নং ফেরিঘাটটি তৈরির জন্য ঘাটের তীরবর্তী এলাকায় ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে ঘাটটির দুই পাশে অন্তত ৬'শ ফুট এলাকার পাড় ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে। নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে যাবে স্রোত ও ঢেউয়ের সৃষ্টি হলে ভাঙ্গন আরো তীব্র হওয়ার আশংকা করছেন স্হানীয়রা।
৭ নং ফেরিঘাটের সারেং মিজানুর রহমান মন্ডল জানান,গত ২৬ মে ছোট সাইজের ফেরি ৭ নং ঘাটে ভেড়ার উপযোগী করে এই ইউটিলিটি ঘাটটি চালু করা হয়েছে। এখানে পানির গভীরতা খুব কম ছিল। যে কারনে গভীরতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করা হয়েছে।
ঘাট সংলগ্ন নদী তীরের বাসিন্দা আতর আলী খান (৭৫),জাফর আলী শেখ (৪৫),শান্তি বেগম (৫০),খবির পাটাদার (৬৩),জাহানারা বেগম (৫০)সহ অনেকেই বলেন, তারা নদীর পাড়ে এমনিতেই ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকেন।তার উপর এবার নতুন ঘাট চালু করার জন্য পাড় ঘেষে ড্রেজিং করাতে এখনই পাড় ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে।
স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় হবে তাদের মাথা গুজার ঠাই,সেই চিন্তায় চিন্তিত ভূক্তভোগী পরিবার গুলো! দ্রুত ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে আমাদের এখানকার অন্তত ৫০ টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে, এবং আমাদের নিংস্ব হয়ে যাবো।
বিআইডব্লিউটিএ'র আরিচা অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম জানান, দৌলতদিয়ার ৬ নং ঘাট থেকে নব নির্মিত ৭ নং ঘাটের দূরত্ব প্রায় ১২'শ ফুট। এই পুরো এলাকাটির সুরক্ষা দরকার।
তারমধ্যে নব নির্মিত ৭ নং ফেরিঘাটের উভয় পাশের অন্তত ৬'শ ফুট এলাকা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে সুরক্ষা করা দরকার। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ করা হবে।