প্রকাশ: ২৩ মে ২০২১, ১৩:১৭
বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ফল গাছে ভরা। মরু অঞ্চলের সুস্বাদু ত্বীন ফলসহ বেশ কয়েক প্রকারের গাছে ফল ধরে আছে। বাড়ির ছাদ ও বাড়ির পরিত্যক্ত আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ফলের বাগান। প্রথম দিকে সখের বশে শুরু করলেও এখন তা বাণিজ্যিক নার্সারীতে পরিণত হয়েছে।
বাড়ির ছাদে নার্সারী করে সফল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের শিক্ষক হাফিজুর রহমান মাসুদ। তিনি সখের এ নার্সারী থেকে পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখিত মরুভূমির ত্বীন ফলসহ বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন।
আলাপকালে শিক্ষক মাসুদ জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবে গতবছর মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ সময়ে সখের বশে বাড়ির ছাদে প্রথমে দুইটি লেবুর চারা লাগান। পরবর্তী কালে তিনি ধীরে ধীরে সংগ্রহ করেন দেশি বিদেশি আরও ফলের চারা। অনলাইনে যাচাই করে দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে তিনি নানা জাতের ফল ও ফুলের চারা সংগ্রহ শুরু করেন। তার নার্সারীতে বর্তমানে ১৭০ প্রজাতির বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা আছে।
এগুলোর মধ্যে পার্সিমন, লং মালবেরি, ইনসুলিন প্লান্ট, কিউজাই, কিং অপ চাকাপাতা, ফোর কেজি, ব্রুনাই কিংসহ বিভিন্ন জাতের আম। হাজারি কাঠাল (হাইব্রিড), থাই বারমাসি কাঠাল, ভিয়েতনামের লাল ও গোলাপি কাঠাল। কমলার মধ্যে রয়েছে দার্জেলিং কমলা, নাগপুরি কমলা, ছাতকি কমলা, মেন্ডারিন কমলা ও কেনু কমলা। এছাড়া চায়না-৩ কাগুজে লেবু, এলাচি, সিডলেচ ও থাই কাগুজে লেবু।
ভিয়েতনামি ও কেরালা নারিকেল। বিদেশি ফল ত্বনি, যয়তুন, রামবুটান, ডুরিয়ান, অ্যাভোকাডোসহ ঔষধি গাছ করসল, ইনসুলিন প্লান্ট, কোরিয়ান জিং সিং, টুরুপ চান্ডাল, সাদা লজ্জাবতিসহ বিদেশি বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেছেন।
শিক্ষক মাসুদ দাবি করে আরো জানান, বর্তমানে তার নার্সারী থেকে প্রতি মাসে খরচ বাদে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা বিক্রি করে আয় করেন। তার প্রেরণায় এলাকার অনেকে বাণিজ্যিকভাবে ত্বীন ফলের চাষ শুরু করেছেন। তার নার্সারী দেখে অণুপ্রাণিত হয়ে এখন অনেকে নিজ বাড়ির ছাদ ও বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ফলের চারা রোপণ করছেন বলে জানান তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির ছাদ ও পরিত্যক্ত আঙিনা ফেলে না রেখে ফলের বাগান করা উচিত।