প্রকাশ: ১১ মে ২০২১, ২২:৩০
নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ঘড়বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (১০ মে) রাতে জেলার মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে এ দুই উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাত থেকে থেমে থেমে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়। এতে ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষীরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার মান্দা উপজেলায় পাট ১৩৮ হেক্টর, তিল ৩০ হেক্টর, নিয়াতপুরে বোরো ধান ১১০ হেক্টর এবং মহাদেবপুর উপজেলায় বোরো ধান ১০ হেক্টর, পাট ৫ হেক্টর ও মচির ৫ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মান্দার ভোলাবাজার, রাইপুর, মৈনম ইউনিয়ন ও মহাদেবপুরের উত্তরগ্রাম, শ্রীরামপুর সহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সোমবার রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী মেঘের তর্জন গর্জন। এর ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে করে জেলার মান্দা, মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম ও ফসলের ক্ষতি হয়। ভুট্টা, পাট ও ধানক্ষেতের ধান জমিতে শুয়ে পড়েছে। কলাগাছগুলো ভেঙে গেছে। ধানের জমিতে পানি জমেছে। কেটে রাখা ধানগুলো ভিজে নষ্ট হচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ মে) বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি।
মান্দার মৈনম ইউনিয়নের বৌদ্ধপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ তাইজুল ইসলাম বলেন, রাত ১টার দিকে হঠাৎ করেই প্রচন্ড বেগে ঝড় আসে। এর কিছু পরেই দুইটি আধাপাকা ইটের ঘরের টিনের চালা সম্পূর্নটা উড়ে নিয়ে পাশে ফেলে দেয়। এরপর ঝড়-বৃষ্টিতে সবকিছু ভিজে যায়। রাত থেকেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে তাৎক্ষণিক ভাবে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যান্ত পরিমাণ শুকনো খাবার আছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে একটু দেরী হচ্ছে। তাদের মাঝে টিন ও টাকা সহায়তা প্রদান করা হবে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুল ওয়াদুদ বলেন, ঝড়ে জেলায় পাট ১৪৩ হেক্টর, তিল ৩০ হেক্টর, বোরো ধান ১২০ হেক্টর এবং মচির ৫ হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে। ধান ৮০ শতাংশ কাটা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ইতোমধ্যে একটা রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ক্ষতির পরিমাণ পেতে প্রায় সপ্তাহ লাগতে পারে।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১