প্রকাশ: ৮ মে ২০২১, ১৪:৫৫
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে একতা সমাজ উন্নয়ন নামের একটি এনজিও অফিস খুলে সদস্যদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। গ্রাহকরা এনজিও অফিসে গিয়ে অফিসে তালাবদ্ধ দেখে হতাশ হয়ে ফিরছে।
উপজেলার আনুনিয়া ইউনিয়নে হাজী মার্কেটে অফিস নিয়ে এনজিও একতা সমাজ উন্নয়ন গ্রাহক সংগ্রহ শুরু করে। এঅফিস থেকে আনুলিয়া, খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নে তাদের কর্মীরা গিয়ে সদস্য ভর্তি করায়। প্রত্যেক সদস্যকে ১০ হাজার টাকা করে সঞ্চয় জমা করলে এক লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে বলে প্রলোভন দেখান হয়।
বড় অংকের টাকা ঋণ পাওয়ার প্রলোভনে পড়ে এলাকার সহজ সরল মানুষ টাকা সঞ্চয় করতে শুরু করেন। তাদেরকে গত বুধবার ঋণের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। বামনডাঙ্গা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করে বুধবার ঋণ নিতে আনুলিয়া শাখা অফিসে হাজির হন।
কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন অফিসে তালা ঝুলছে। ফোন নাম্বারে ফোন করে দেখে ফোন বন্ধ। একে একে সদস্যদের ভিড়ে স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত হলে জানতে পারেন যে, রাতের আঁধারে এনজিও কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে গেছে।
সদস্যরা বিকাশে ও নগদ হাতে হাতে লেনদেন করেছে। বিকাশে লেনদেন হওয়া নাম্বার ০১৭৩৮৯৪৫৫১২। এটা বিকাশ এজেন্ট নাম্বার। কর্তৃপক্ষ যে নাম্বারে কথা বা যোগাযোগ করত সে নাম্বার ০১৮৩২৪৫৫৪ ও ০১৮৭৯১১৬৪০২। যা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
সদস্য বামনডাঙ্গা গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বেগম, মোহাম্মদ আলী গাজীর পুত্র নজরুল ইসলাম এক লক্ষ টাকা ঋণ পাওয়ার আশায় ১০হাজার টাকা, র্ঝনা খাতুন ৪০ হাজার ঋণ পাওয়ার আশায় ৪০০০ টাকা, নোয়াব আলির স্ত্রী ফারিনা খাতুন ৪ হাজার টাকা, খোকন গাজী ৫০০০ টাকা, আমিনুর গাজী ৫০০০ টাকা, মুক্তা পারভিন ৫০০০ টাকা সঞ্চয় জমা করেছেন।
এমনি ভাবে শত শত মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিয়ে সঞ্চয় জমা করেছেন। এখন তারা টাকা খুইয়ে হায় হায় করছেন। এব্যাপারে প্রতারিত গ্রাহকরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিলিপ কুমার জানান, এনজিও প্রতিনিধিরা এলাকায় এসে সদস্যদের থেকে সঞ্চয়ের টাকা সংগ্রহ করতো। সদস্যরা সঞ্চয় জমা দিয়ে ঋণ নিতে দেখেন এনজিও কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে গেছে। এলাকার শত শত মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এনজিও’র উধাও হওয়ার ঘটনায় প্রতারিত সদস্যরা চোখের জল ফেলে ফিরছে। তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।