প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩৫
বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ৮ দিনের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বরিশালে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৪ এপ্রিল) কঠোর লগডাউনের প্রথম দিন বরিশালের রাস্তাঘাট জনশূন্য থাকলেও কাঁচাবাজার লাগোয়া অন্যান্য দোকানপাট খোলা থাকায় ওইসব স্থানগুলোতে কিছুটা ভীর লক্ষ্য করা গেছে।
অবশ্য প্রথমদিনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে নগরীর বিভিন্নস্থানে ৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন
বৃহস্পতিবার বিএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর নজরদারী করা হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত কাউকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, জরুরী পরিসেবা ব্যতীত বন্ধ রয়েছে সব ধরণের বিপনি বিতান ও গণপরিবহন চলাচল। তবে কাঁচাবাজার লাগোয়া স্থানগুলোতে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বাজার করতে আসা লোকজন অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
এদিকে নগরীর ব্যস্ততম নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে রয়েছে গণপরিবহন। ফলে যাদের একান্ত প্রয়োজন এমন ধরণের মানুষদের গন্তব্যে পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হচ্ছে।
এছাড়া মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স চলাচলের পাশাপাশি কিছু থ্রি হুইলার ও ব্যাক্তিগত মটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। অবশ্য পুলিশের চেকপোষ্টে তাদেরকে আটকে দেয়া হচ্ছে। তবুও নানান অজুহাত দেখিয়ে অনেকে চলাচল করছে।
অপরদিকে নগরীর অলিগলিতে লকডাউনের তেমন একটা প্রভাব দেখা যায়নি। পুলিশের টহল গাড়ি দেখলেই চলে লুকোচুরি খেলা। এসএসআই তসলিম ফুয়াদ বলেন, প্রধান প্রধান সড়কে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলির দোকানদাররা লকডাউন মেনে চলছেন না। একদিক থেকে বন্ধ করে গেলে অপরদিকে দোকান খুলে বসেন তারা।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিমুল করিম থানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মরকখোলা পোল এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্বপালনকালে বলেন, জনগণ সচেতন না হলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “আমরা জনগণকে সচেতন করছি, পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি”।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মাসুদ রানা, করোনা প্রতিরোধে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। মানুষ যাতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়, সেদিকে পুলিশ লক্ষ্য রাখছে। যাদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের আন্তরিকতার সাথে বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।