প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২১, ১৬:৪৭
করোনা মহামারীতে যারা জীবনবাজি রেখে মানুষ কে সেবা দিয়েছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীরা বেতন পাচ্ছে না । পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই উল্লাপাড়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের অন্তত ১০১ জন স্বাস্থ্য কর্মীর ৩ মাস যাবৎ তাদের সরকার নির্ধারিত বেতন বন্ধ রয়েছে।এরমধ্যে রয়েছে সহকারী স্বাস্থ্য কর্মী,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিদর্শক,স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, এনপিআই এবং স্বাস্থ্য কর্মচারী।
এতে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই করোনা যোদ্ধারা৷ উল্লাপাড়ায় করোনাকালীন সময়ে অন্তত ২০ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিল।শিক্ষা খাতে টাকা না থাকায় স্বাস্থ্য কর্মীরা বেতনের টাকা পাচ্ছে না ফলে বেতন নিয়ে নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত মাঠ পরিদর্শক আবু তাহের ফারুকী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প্রধান সহকারী শফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী বিন্দু বলেন বেতনের জন্য বারবার তাগাদা দিয়েও কোন সূরাহ হয়নি । অথচ সিরাজগঞ্জের অন্যান্য উপজেলার বেতন ঠিক সময়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন প্রশাসনিক গাফিলতির কারনে তাদের বেতন হচ্ছে না।
উল্লাপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান,পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা করোনা পজিটিভ হয়৷৪৪ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেনটাইনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তারা। এতে তার অন্তত ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। সরকারি ৩ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পায়নি। আর নতুন করে ৩ মাস যাবৎ বেতন না পাওয়ায় ছেলেমেয়ের লেখাপড়া এবং সাংসারিক খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনা সতত্যা স্বীকার বলেন,শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় এই সমস্যার দেখা দিয়েছে।স্বাস্থ্য সহকারীরা ৪ কিস্তিতে বেতন পেয়ে থাকে। কিন্তুু পর্যাপ্ত পরিমান বাজেট না থাকায় তারা বেতন পেতে দেরি হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই বরাদ্দটা পেয়ে যাবো এবং তারা খুব দ্রুতই বেতন পেয়ে যাবে।