প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২১, ১৫:২০
গ্রামে থাকা বাবা-মাকে টাকা পাঠাতে চেয়ে ফোন রেখে দেয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে টাকা পাঠাতে চাওয়া যুবক। খোঁজ-খবর না পেয়ে উৎকন্ঠায় দিন কাটছে তার পরিবারের।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চব্বিশ বছর বয়সী যুবক হযরত আলী ঢাকার জিরানী বাজার এলাকার একোটেক্স লিঃ গার্মেন্টসে আয়রনম্যানের কাজ করত।
গত ৮ মার্চ বেতন তোলার পর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গ্রামে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের সাথে মোবাইলে কথা বলে। ওই সময় সে রাতে টাকা পাঠাতে চেয়ে ফোন কেটে দেয়। এরপর থেকে হযরত আলীর ফোন বন্ধ পাচ্ছে তার পরিবার। প্রায় দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও হযরত আলীর খোঁজ পায়নি তার পরিবার। সে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নলেয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
হযরত আলীর সন্ধানে ঢাকায় যান তার দুই চাচা মোজাম্মেল হক ও আলমগীর হোসেন। হযরত আলী জিরানী মুসলিমটেক এলাকায় যে বাসায় ভাড়া থাকতো সেখানে ও পরিচিতদের বাসায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঢাকা থেকে ফিরে আলমগীর হোসেন জানান, গত ১১ মার্চ হযরত আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৬০২। হযরত আলী যে রুমে থাকত সেই রুম তালা বদ্ধ ছিল, ওই রুমে আরো দু’জন থাকত তারাও নেই। হযরত আলীর অনুসন্ধানে বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করি।
জিরানী এলাকার ভ্রাম্যমান একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৮ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে একটি কালো গাড়িতে ৩ ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যেতে দেখে বলে জানায়। ওই তিন জনের মধ্যে হযরত আলী থাকতে পারে। পরে আশুলিয়া থানা ও পোড়াবাড়ি র্যাব-১ কার্যালয়ে হযরত আলীর সন্ধান করা হয়েছে। সেখানকার কেউ হযরত আলীর সন্ধান দিতে পারেনি।
হযরত আলী যে বাসায় ভাড়া থাকতো সেই বাসার মালিক পক্ষেরে সাথে কথা বলে জানা গেছে, হযরত আলী সহ আরো ২জন এক রুমে থাকতো। প্রায় সাত দিন পর মালিক পক্ষ জানতে পারেন ওই ৩ জন কয়েকদিন যাবত বাসায় ফিরছেন না।
তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত আশুলিয়া থানার এসআই কাজী নাসের জানান, হযরত আলীকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ছেলেকে ফিরে পেতে ব্যাকুল তার বাবা-মা। নিখোঁজ হযরত আলীর সন্ধান পেলে ০১৭১৯০৯৫৯১২ নম্বরে জানানো অনুরোধ করা হয়েছে।
