৪০ ঘন্টা পর কলেজ ছাত্রকে মুমূর্ষু অবস্থায় থেকে উদ্ধার!

কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ক্লাসপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজকে অপহরণের ৪০ ঘন্টা পর ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অপহ্নত আবদুল আজিজের বড় ভাই আব্দুল্লাহ জানান, গত ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার)সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার ছোট ভাই কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজ দোকানের মালামাল ক্রয়ের পর মরিচ্যা বাজার থেকে রুমঁখা বটতলীস্থ দোকানে আসার জন্য খালি সিএনজিতে উঠলে মাস্ক পরা দুই ব্যক্তি সিএনজিতে উঠা মাত্র শ্লো পয়জন স্প্রে প্রয়োগ করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলা হয়। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেয়।

সারাদিন দোকান বন্ধ থাকায় আবদুল আজিজের পরিবারের সন্দেহ জাগলে পরিচিত সব জায়গায় ও আত্নীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ না মেলায় রাত ৮টার দিকে কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজের মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে উখিয়া থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন।পরে রাত আরো গভীর হওয়ার পরও আবদুল আজিজের কোন সন্ধান না পেলে পরিবারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত৷ র‍্যাব-১৫ ও বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিষয়টা জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত সারারাত অপেক্ষার পরও কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজের কোন খবর না পাওয়ার পর ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে অজ্ঞান থেকে হুশ হওয়া মাত্র আবদুল আজিজের মোবাইল ফোন চালু করা মাত্র কল করলে সে নিজেকে একটা অন্ধকার জায়গায় আবিস্কার করেন।যেখানে চারপাশে কয়েকটা ফ্লাইওভার দেখতে পান।

সাইনবোর্ড দেখে নিশ্চিত হন সেটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি বাসস্টান্ড। পরে পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ কল করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নির্দেশনায় আবদুল আজিজকে একটি মসজিদের নিরাপদ স্থানে যেতে নির্দেশ দেন। তারপর পরিবারের সদস্যরা গিয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা পর, তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত অপহরণকারীরা হত্যার উদ্দ্যেশে কলেজ ছাত্র আবদুল আজিজকে মরিচ্যা বাজার থেকে অপহরণ করার পর কোন নির্জন জায়গায় অজ্ঞান করে রেখে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকাগামী কোন বাসে তুলে দেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী পৌছলে অজ্ঞাত কোন কারণে তাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল।

অপহরণের ব্যাপারে শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন অপহ্নতের পরিবার।