প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৬
বরিশালের হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আঃ হালিম এর দেয়া দুই লাথিতে নাজমুল হাসান নামে এক যুবক মৃত্যু শয্যায়। বড়জালিয়া ইউনিয়নের কাইচমা বাজারের বরফকল এলাকার আঃ মান্নান বেপারীর বড় ছেলে এই নাজমুল।
অসুস্থ নাজমুল অস্পষ্ট কন্ঠে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রতিবেদককে জানায়, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আঃ হালিম এর সাথে অভিযানে যায় সে। মৎস্য অফিসের ট্রলারের মাঝি খলিলের সহকারী হিসেবে সে কাজ করে। অভিযানে হিজলা নৌ-পুলিশের এএসআই পারভেজ উপস্থিত ছিলো। সারাদিন অভিযান শেষে ৭ জন জেলেকে তারা আটক করে।
কিন্তু কোনো জেলেকেই হ্যান্ডকাপ দেয়া হয়নি বা বেধেও রাখা হয়নি। মৎস্য অফিসার ও মাঝি খলিলের সাথে চুক্তি অনুযায়ী রাত ১০ টার একটু আগে কোরবানি রাস্তার মাথায় ট্রলার ঘাট করার সাথে সাথে এক আসামি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
চুক্তির বেপারটি এএসআই পারভেজ জানতো না, তাই সে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে না পেয়ে নাজমুলকে বেধড়ক মারপিট করে এবং ইট দিয়ে শরীরে আঘাত করে। মৎস্য অফিসার এই ঘটনায় নিজের দোষ ধামাচাপা দিতে জুতা পায়ে নাজমুলের বুকে দুটি লাথি মারর সাথে সাথে নাক দিয়ে রক্ত বের হয় এবং ওই স্থানেই নাজমুল অসুস্থ হয়ে পরে। তাকে হিজলা হাসপাতালেও ভর্তি করতে দেয়নি মৎস্য অফিসার ও নৌ-পুলিশ।
নাজমুলের পরিবারকে ভয় দেখিয়ে নাজমুলকে অনেকটা ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার অভাবে সে এখন মৃত্যু শয্যায়। পরিস্থিতি টের পেয়ে নাজমুলের বাবার হাতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে যায় কেউ একজন। নাজমুলের মা জানান, তার তরতাজা নিরপরাধ ছেলেটিকে মেরে যারা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের সহায়তা নিবেন তারা।