প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:৫৩
বরিশালের হিজলা উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের আয়োজনে হিজলা উপজেলা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৬টি ইউনিয়নের নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন ঢালী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ নাজমা বেগম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তহিদুর রহমান, গুয়াবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার, হিজলা গৌরব্দী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন, বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পণ্ডিত শাহবুদ্দিন আহমেদ, হরিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান,মেমানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার,
হিজলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মামুন সহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগণ। হিজলায় ৬ টি ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন ১৬ হাজার ৬শত ১৩ জন সুবিধাভোগী। আর এই কর্মসূচিতে নিয়োগ প্রাপ্ত ৩৫ জন ডিলার সহায়তা প্রদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরমধ্যে হরিনাথপুর ইউনিয়নে ২৭১৭ জন সুবিধাভোগীর জন্য ডিলার রয়েছেন ৬ জন, মেমানিয়া ইউনিয়নে ২৫০০ জনের জন্য ডিলার ৫ জন, গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩৬০৩ জনের জন্য ডিলার ৮ জন, বড়জালিয়া ইউনিয়নে ৪০১৯ জনের জন্য ডিলার ৮ জন, হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নে ২৪৫৭ জনের জন্য ডিলার ৫ জন, ধূলখোলা ইউনিয়নে ১৩১৭ জনের জন্য ডিলার ৩ জন।
সভায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক তহিদুর রহমান ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাল ক্রয় করতে আসা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। সিরিয়াল দিয়ে চাল বিক্রির কাজ সম্পাদন করতে হবে। নিজ নিজ এলাকার চেয়ারম্যানদের কাছে প্রতিদিনের বিক্রিত চালের হিসাব দিতে হবে। মাস্টার রোলে স্বাক্ষর নিতে হবে। কেউ চাল ক্রয় করতে আসতে না পারলে ঐ পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে চাল দেয়া যাবে।
নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ী সাইনবোর্ড লাগাতে হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হবে। দোকানের চুক্তিপত্র অবশ্যই থাকতে হবে। তদারকি কর্মকর্তাকে পরিবর্তনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। প্রতি মাসের মাস্টার রোল প্রতি মাসে থাকতে হবে।