প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৯
হতাশা চোখের চাহুনিওয়ালা ছেলেটির নাম সাগর(১২)। সাগরের এই বয়সে যে হাতে থাকার কথা বই খাতা কলম। কিন্তু ভাগ্যর পরিহাসে আজ ঘরে অসুস্থ মায়ের একটু সু-চিকিৎসার জন্য শিশু সাগর এখন হাতে চায়ের ফ্লাক্স নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বরিশাল বিএম কলেজের ক্যাম্পাসে।
ও এবার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। তার বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার কামালপুর গ্রামে। চা বিক্রি করে সাগরের যে টাকা আয় হয়; তা থেকে সে, শুধুমাত্র নিজের খাওয়া থাকার পয়সা রেখে অবশিষ্ট টাকা বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় মায়ের চিকিৎসার জন্য। শিশু সাগরের বাবা একজন হকার। হকারি করে যে আয় হয় তাতে তার মায়ের চিকিৎসা তো দূরের কথা; তাদের পরিবারের থাকা খাওয়াই চলেনা।
বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে একটু বসলেই দেখা মেলবে ওই অবাক চোখের চাহুনি চা বিক্রেতা শিশু সাগরের। শিশুটির মায়ের নাম রুসনা ও বাবার নাম দুলাল। শিশুটির বর্তমান আবাসস্থলের নাম বরিশালের রসূলপুর।
শিশু সাগর বলে তার বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার কামালপুরে। তারা দুই ভাই এক বোন। তার বাবা একজন হকার। ঘরে অসুস্থ মা। ডাক্তার বলছে তার মায়ের কিডনীতে পাথর হইছে। এছাড়াও শরীরে নানান অসুখ। বাবার একার সামন্য আয়ে অভাব যেন তাদের সংসারের নিত্য সঙ্গী।
করোনাকালে সংসারে অভাবটা যেন ভয়াবহ আকারে হানা দেয়। তাই সেই সময় থেকে অভাবের কাছে মাথানত না করতে করোনায় স্কুল বন্ধের সুযোগে চা বিক্রি করতে রাস্তায় নেমেছি। মায়ের চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে পারলে লেখাপড়া চালিয়ে যাবে বলে লেখাপড়ার তার খুবই ইচ্ছা।