প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২৪
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধর্ষকে বিশটি জুতার বাড়ি দিয়েই বিচার শেষ করা হয়। ধর্ষনের বিচারের সন্তুষ্ট না হতে পেরে মামলা করেন ওই পরিবার। মামলা হওয়ার পর বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় মূলনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ গ্রাম্য সালিশের মাতব্বর ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মূলনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জসিম সরদার (৩৫), মোকসেদ মাদবর (৫০) ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারী নয়ন মোড়ল (১৮)।
সংবাদ সম্মেলনে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুদু মিয়া নামে এক জন ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন স্থানীয় ফরহাদ, নয়ন মোড়ল, রায়হান সিকদার, আবুল মোড়ল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় মোকসেদ মাদবরের বাড়িতে ভুক্তভোগী পরিবারের অনুপস্থিতিতে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে উপস্থিত মাতব্বররা, ধর্ষককে ৫০টি জুতার বাড়ি মারার রায় ঘোষণা করেন। সেখানে ৩০টি মাফ করে দিয়ে দুদু মিয়াকে ২০টি জুতার বারি মারা হয় ।
সালিশে ইউপি সদস্য জসিম সরদার, মোকসেদ মাদবরসহ স্থানীয় মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’