প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৪
সন্তানের সাফল্যে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে মিষ্টি (রসগোল্লা) খাওয়ানোর রেওয়াজ বহু পুরনো। বিগত বছরগুলোতে এসএসসি কিংবা এইচএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে শহর হোক কিংবা গ্রাম সবখানেই মিষ্টি মুখের ধুম পড়ে যেত।
সন্তানের সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত অভিভাবকেরা মিষ্টি (রসগোল্লা) কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন মিষ্টির দোকানগুলোতে। মিষ্টির দোকানে পৌছতে একটু দেরি হলে মিষ্টি (রসগোল্লা) না পাওয়ার কারণে অনেক অভিভাবকের মন খারাপ হয়ে যেত। তবে এবছর ফলাফল প্রকাশের পর মিষ্টি (রসগোল্লা) নিয়ে কাড়াকাড়ির সেই চিরাচরিত দৃশ্য খুব একটা নজরে পরেনি।
বিগত বছরগুলোতে ফলাফল প্রকাশের দিন মিষ্টির (রসগোল্লা) প্রচুর চাহিদা থাকতো। সেই চাহিদা মেটাতে ফলাফল প্রকাশের দুই/তিন দিন আগে থেকেই মিষ্টি (রসগোল্লা) তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যেত। মিষ্টির (রসগোল্লা) বাড়তি চাহিদা মেটাতে তাঁরা দিনরাত একাকারা করে মিষ্টি (রসগোল্লা) তৈরি করতেন। তারপরেও ক্রেতাদের চাহিদা পুরণ করতে ব্যর্থ হতেন তাঁরা। তবে এবছরের চিত্র সম্পুর্ণ ভিন্ন। দোকানে মিষ্টি (রসগোল্লা) আছে কিন্তু ক্রেতা নেই।
উপজেলার সদরের মিষ্টি (রসগোল্লা) প্রস্তুতকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে ফলাফল প্রকাশের দিন তাদের কেউ কেউ দেড় মণ থেকে আড়াই মণ মিষ্টি (রসগোল্লা) বিক্রি করতেন। অথচ গতকাল ফলাফল প্রকাশের দিন মণ তো দুরের কথা কেউ ৫ কেজি মিষ্টি (রসগোল্লা) বিক্রি করতে পারেননি।
শুভ হোটেলের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় বসাক জানান, আগে পরীক্ষার রেজাল্টের দিন প্রায় দেড় মণ মিষ্টি ( রসগোল্লা) বিক্রি হতো। এবার কোনো মিষ্টি (রসগোল্লা) বিক্রি করতে পারিনি। জমজম সুইটস প্লাস এন্ড বেকারির বাবুল চন্দ্র জানান,
যেদিন পরীক্ষার রেজাল্ট হতো সেদিন তাঁরা প্রায় দুই থেকে আড়াই মণ কেজি মিষ্টি (রসগোল্লা) বিক্রি করতেন। এবছর এক কেজি মিষ্টি (রসগোল্লা) বিক্রি হয়নি। পিয়াংকা সুইটসের সঞ্জয় সরকার জানান, আশা করেছিলাম রেজাল্টের দিন বেশি মিষ্টি (রসগোল্লা) বিক্রি হবে কিন্তু ওই দিন অন্য দিনের তুলনায় মিষ্টি (রসগোল্লা) আরো কম বিক্রি হয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের দিন মিষ্টির দোকানে ক্রেতা শুন্যের কারণ খুঁজে গিয়ে জানা গেছে, করোনা মহামারীর রুখতে পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল প্রকাশের ফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ফলাফল নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাসিত না হওয়ায় মূলতঃ মিষ্টির (রসগোল্লা) বিক্রি কমেছে।