প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৫৫
মাদক নির্মূল ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে অনন্য ভূমিকা রাখায় রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির জৈষ্ঠ পুত্র, তরুণ রাজনীতিবীদ ফারাজ করিম চৌধুরীকে গণ-সংবর্ধনা দিয়েছে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ ও ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ।
(৩রা জানুয়ারি) রবিবার বিকাল ৩ টায় মোহাম্মদ আমীর হাটস্থ হযরত এয়াসিন শাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সংবর্ধনা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধো শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভায় সংবর্ধনা বাস্তবায়ন কমিটির সচিব উপজেলা আওয়ামীলীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম বাবর, ডাক্তার নিক্সন চৌধুরী ও অধ্যাপিকা সাল সাবিল চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য
রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সংবর্ধিত অতিথি ফারাজ করিম চৌধুরী।
প্রধান অতিথি সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেন, জ্ঞান ছাড়া নেতা হওয়া যায়না। জ্ঞানী রাজনীতিক ব্যাক্তিরা পরিচালনা করতে পারেন একটি শৃংখল দেশ। তিনি বলেন মানবিক চেৎনা, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ব্যাক্তিরা শুধু সমাজ কিংবা দেশ নয় সারা
বিশ্বকে আলোকিত করতে পারেন। এ রাউজানটি এগিয়ে নিতে অনুপ্রানিত করছে নতুন চেৎনায়, মানবিক চেৎনায়, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতায়, মানুষের সেবায় সে ছেলেটির নাম ফারাজ করিম। তিনি বলেন আমি ফারাজের সব কথা শুনলাম,অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ
কথা হলো দেশে ১০লক্ষ পথ শিশু রয়েছে। দেশে সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে, যাদের বড় বড় হাত রয়েছে তাঁরা চেষ্টা করলে আগামি ১০/১২বছরে পথ শিশু কোন শব্দ থাকবেনা। তিনি বলেন ফারাজ করিম সমাজের জন্য যেকাজ গুলো করে যাচ্ছে সত্যিই প্রশংসার দাবী
রাখে। সমাজে বাবা-মা ছেলের হাতে নিগৃহীত বাল্য বিবাহ, যৌতুক ব্যধিতে রুপ নিয়েছে। এগুলো সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করে অাধুনীকতার চোয়া লাগাতে ফারাজ করিমের উদ্যোগ সময় উপযোগী। তিনি বলেন বর্তমান তরুন প্রজম্মকে এগিয়ে যেতে
হবে ডিজিটাল বাংলাদেশকে সঙ্গী করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ছাড়া আগানোর কোন সুযোগ নেই। প্রতিজন নারী পুরুষ আজ এর আওতায় এসেছে। তরুন প্রজম্মের ফারাজ করিম ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
বিশেষ অতিথি একে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল বলেন ফারাজ করিম আমাদের ছেলে। আজ রাউজান নয় সারা বাংলাদেশে ফারাজ করিম চৌধুরী একটি মডেল। তিনি বলেন আগামিতে যে ৮০/৯০জন তরুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে সেখানে আমাদের ফারাজ অন্যতম।
সংবর্ধিত অতিথি ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন আমাকে আপনারা সংবর্ধনা দিচ্ছেন,কেন দিচ্ছেন আমি কিন্তুু জানিনা।এরপরও আমি এসে একটি সুশৃংখল অনুষ্টান দেখে মুগ্ধ হয়েছি।তিনি বলেন আমি সব সময় সত্য কথাটি বলে পেলি।আজও কিন্তু তা বলব।
গনতন্ত্র আমরা সকলেই বলি।কিন্তু আপনারা গনতন্ত্র কাকে বলে কিংবা গনতন্ত্র কী সেটি জানেন?আমি বলি আপনারা শুনুন গনতন্ত্র হচ্ছে আপনার যৌক্তিক দাবী কিংবা কথা গুলো উপস্থাপন করা।তিনি হতে পারেন আমার বাবা(সাংসদ হিসাবে),উপজেলা চেয়ারম্যান,স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান।যেই হওকনা কেন?আপনার যৌক্তিক কথাগুলো
বলতে হবে উনাদেরকে।উনারা আপনার কথা গুলো শুনে সমধান দেওয়ার নাম গনতন্ত্র।তিনি বলেন দেশকে পরিবর্তন করতে হলে সমাজের মুরব্বি ছাত্র যুবক সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।তাহলে বাংলাদেশটি এগিয়ে নিতে কষ্ট হবেনা।তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্তে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।সেদেশকে রক্ষা করার দায়িত্ত সকলের।
এর আগে অতিথিরাবৃন্দ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন, তখন পুরো কলেজ ময়দান থেকে বেলুনে বেলুনে রঙ্গিন হয়ে যায় আকাশ। পরে সংবর্ধিত অতিথি ফারাজ করিম চৌধুরীকে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি ড.অনুপম সেন সহ অতিথিবৃন্দ। অথিতিবৃন্দ স্কুল ও কলেজ অাঙ্গীনায় ৩টি ফলদ চারা রোপন করে মোনাজাত করেন
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল ও সাফল্যমন্ডীত করে তুলতে সহায়তা করেন, সংবর্ধনা বাস্তবায়ন কমিটি সদস্যদের মধ্যে আওয়ামিলীগ নেতা যথা- আব্দুল মোমেন চৌধুরী, মাহবুবুল আলম, মুক্তিযোদ্বা আবু তাহের চৌধুরী, মো সামশুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, সরওয়ার উদ্দীন, বাবর রনো ভট্টাচার্য, মোঃ নাছির উদ্দীন, মোঃ শাহজাহান, শম্ভো মজুমদার, মোঃ তহিদুল আলম,ডাঃ নুরুল আলম, যুবলীগ নেতা ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হাসান মুরাদ রাজু, অহিদুর আনোয়ার, তসলিমউদ্দিন, এমরান কাদের, মোঃ জাবেদ, মোঃ মনছুর প্রমুখ।
এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউপি সদস্যবৃন্দ, পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, রাজনীতিবীদ,শিক্ষক, চিকিৎসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।