গৃহবধুকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ, উদ্ধার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুর রহমান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ ০৪:২২ অপরাহ্ন
গৃহবধুকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ, উদ্ধার করেছে পুলিশ

মাদারীপুরের সদর উপজেলার হাজরাপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গৃহবধু সুমি আক্তার (২৭) কে মারধর করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে এবং খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমিকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে সুমি আক্তারের সঙ্গে রুবেল আকনের বিয়ে হয়। সুমি মাতুব্বর পরিবারের মেয়ে, এবং তার শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজরাপুরে। বিয়ের পর রুবেল ইতালিতে চলে যান, এবং সুমিকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান। কিন্তু সুমির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন, বিশেষত তার দেবর রবিউল আকন, নানা বিষয় নিয়ে তাকে প্রায়ই মারধর করতো। 


রোববার সন্ধ্যায় সুমিকে আবারো মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে তাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। সুমি তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধারের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুবির সুত্রধর ও সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমিকে উদ্ধার করেন।


পুলিশের উদ্ধারের পর সুমি আক্তারকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুমি ও তার পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন।


এদিকে, অভিযুক্ত রুবেল আকন এবং তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, সুমির সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের শারীরিক সহিংসতা হয়নি এবং ঘটনার সঙ্গে তারা কোনোভাবে জড়িত নন।


মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানিয়েছেন, গৃহবধুকে মারধর করে আটকে রাখার ঘটনায় পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


এই ঘটনায় মাদারীপুরে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, এবং নিপীড়িত গৃহবধুর পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার দাবি করা হচ্ছে।