সোনাডাঙ্গায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রাতভর গুলি বিনিময়, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১১

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১২টা থেকে রবিবার (৩০ মার্চ) ভোররাত পর্যন্ত সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ, খুলনা মহানগর পুলিশের সদস্য এবং যৌথবাহিনী একত্রে এই অভিযান পরিচালনা করেন। কেএমপির সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আজম খান জানিয়েছেন, আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। পুলিশ অভিযান শুরুর পর সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা পার্শ্ববর্তী পুকুরে ঝাঁপ দেয় এবং সেখানে গুলি চালাতে থাকে।

আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা দীর্ঘ এই অভিযানে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হন। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নৌবাহিনীর উপশম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের মধ্যে ১০ জনকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শটগান, একটি কাটা বন্ধুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া সন্ত্রাসীদের মধ্যে বেশ কিছু স্থানীয় যুবকও রয়েছে, যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠিত হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। পুলিশের দাবি, এই অভিযান সফল হওয়ায় নগরীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আরও বলেন, তাদের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।