ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন দায় স্বীকার করেছেন। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানিয়েছে, চালকের লাইসেন্স নবায়ন করা ছিল না এবং তিনি নিয়মিত মাদক সেবন করতেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, নুর উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, দুর্ঘটনার দিন বাসটির ব্রেক পুরোপুরি কাজ করছিল না। মেরামতের পর সেদিনই বাসটি সড়কে নামানো হয়। প্রথম থেকেই ব্রেকের সমস্যা বুঝতে পেরেও মালিকের নির্দেশে তিনি বাস চালাতে বাধ্য হন। দুর্ঘটনার সময় তিনি অনেকবার ব্রেক কষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
তাপস কর্মকার আরও বলেন, নুর উদ্দিন গাঁজা সেবনের অভ্যাসের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন যে, দুর্ঘটনার সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না।
দুর্ঘটনার দিন, কুয়াকাটাগামী বেপারী পরিবহনের বাসটি টোলপ্লাজায় থেমে থাকা প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এবং মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ছয়জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করা হলেও চালক ও স্টাফরা পালিয়ে যান।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া জানান, দুর্ঘটনার পর দুজনকে আটক করা হয়। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর চালককে গ্রেপ্তার করা হলেও তার সহকারী নাহিদ (২৬) এখনো পলাতক।
র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, দীর্ঘদিন মেরামতহীন অবস্থায় থাকা বাসটি সড়কে নামানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার জন্য বাস মালিক এবং চালকের অবহেলাকে দায়ী করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর থেকে বাসচালকের সহকারীসহ অন্যান্য দায়িত্বরত ব্যক্তিরা পলাতক রয়েছেন।
এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।